বীরভূম: প্রসঙ্গ সেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যে স্কুলে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে একদিন ক্লাস না নিয়ে বেতন নিয়েছেন প্রতি মাসে। সেই ২০১৬ সাল থেকেই। অভিযোগ তেমনই। কেবল তিনিই নন, চাকরিতে অনিয়মের অভিযোগে দুষ্ট অনুব্রত মণ্ডলের পিএ অর্ক দত্তও। তাঁর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছিল। অর্থাৎ তিনিও চাকরিতে নিয়োগের পর একদিনও স্কুলে না গিয়ে বেতন নিয়েছেন প্রতি মাসে। আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের কেসটি মামলাধীন। অন্যদিকে, অর্ক দত্ত বলে যে স্কুলে কেউ রয়েছেন, তা জানেনই না কালিকাপুর প্রাথমিক স্কুলের কোনও পড়ুয়ারা। শিক্ষকরা আগেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। হঠাৎই সোমবার সকাল ১০.৪০ মিনিটে কালিকাপুর স্কুলে ঢুকতে দেখা গেল অর্ক দত্তকে। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাহলে আদালতে মামলা ওঠার পরই স্কুলে যেতে শুরু করলেন অর্ক? এই প্রসঙ্গে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন অর্ক নিজে, স্কুলের বাকিরাও নিশ্চুপ।
গরুপাচার মামলায় আপাতত সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত। ওই মামলায় তাঁর মেয়ে সুকন্যারও নাম জড়িয়েছে। এরই মধ্যে বেআইনিভাবে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত-কন্যার বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের আদালতে সেই অভিযোগ ওঠে। তার জেরে সুকন্যাকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দেন। সুকন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেট না দিয়ে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। সুকন্যার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি নাকি কোনও দিন স্কুলেই যাননি! বাড়িতে বসেই বেতন পেতেন।
সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সুকন্যা। আদালতের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিলেও কোনও নথি পেশ করতে হয়নি তাঁকে। কন্যা-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ৬ জনকে এ দিন আদালতে টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সে নির্দেশও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।