বোলপুর : রাইস মিলে দুর্নীতি চলত। ভাল চালের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হত ভাঙা চাল। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বীরভূমের রাইস মিলের চালক। তরুণ কুমার হাজরা নামে এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি জেলার একাধিক রাইস মিলের গাড়ি চালাতেন ও চাল নিয়ে যাওয়ার কাজ করতেন। তাঁর দাবি, তাঁর চোখের সামনেই ভাল চালের সঙ্গে খারাপ চাল মেশানো হত। আর ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরাও সে সব জেনেশুনেও ছাড়পত্র দিয়ে দিতেন।
সোমবার সকালে বীরভূমের বোলপুরে শিব শম্ভু রাইস মিলে তল্লাশি চালাতে গিয়েছে সিবিআই। জেলার রাইস মিল অ্য়াসোসিয়েশনের নথি অনুযায়ী, এই শিব শম্ভু রাইস মিলের মালিক অনুব্রত মণ্ডলের বোনের স্বামী কমল কান্তি ঘোষ। আবার মিলের সামনে দরজায় লেখা আছে অন্য নাম। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ খুলতে না চাইলেও, সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ওই চালক।
এ দিন তিনি জানান, যে ভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তার কড়া শাস্তি চান তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, শুধু শিব শম্ভু নয়, জেলার একাধিক রাইস মিলে দুর্নীতি হয়েছে। মিল থেকে ভাঙা চাল দেওয়া সত্ত্বেও তাতে ছাড়পত্র দিয়েছেন এফসিআই আধিকারিকরা। চালকের দাবি, টাকা নিয়েও এমন কাজ করতেন এফসিআই-এর আধিকারিকরা। তাঁর কথায়, ১০ বস্তা ভাল চাল সরবরাহ করলে ২ বস্তা ভাঙা চাল বা খুঁত মেশানো হত তাতে। শিব শম্ভু রাইস মিলেও চলত সেই একই কাজ।
তবে, শিব শম্ভু-র মালিকানা কার, তা ঠিক জানা নেই ওই চালকের। তিনি জানান, এটি বহু পুরনো একটি রাইস মিল। আগে অন্য একজন মালিক ছিলেন, পরে মালিক বদলে যায়। এর থেকে বেশি কিছু জানা নেই তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। মিল থেকে রেশন ডিলারদের কাছে চাল যেত বলে সূত্রের খবর। এই মিলের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ রয়েছে বলেই অনুমান গোয়েন্দা আধিকারিকদের। মিল থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।