বোলপুর: বোলপুরে কেষ্টর চিকিৎসা বিতর্ক। কেন সরকারি ডাক্তারকে নেতার বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ? কেনই বা সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন? তোলপাড়ের পর প্রথমবার ক্যামেরার সামনে বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। TV9 বাংলার প্রশ্নবাণে উত্তর এড়াতে হিমশিম। বোলপুর স্টেশনে হাওড়া-আজিমগঞ্জ গনদেবতা এক্সপ্রেস থেকে নামতেই বুদ্ধদেব মুর্মুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানোর নির্দেশ কেন দিয়েছিলেন? কার নির্দেশে চন্দ্রনাথকে পাঠিয়েছিলেন অনুব্রতর বাড়িতে? সব প্রশ্নের একটাই উত্তর, নো কমেন্ট। সংবাদ মাধ্যমের যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে চলন্ত ট্রেনে ফের উঠে পড়েন বুদ্ধদেব।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির ঠিক একদিন আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন অনুব্রত। দিনটা ছিল সোমবার। এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অনুব্রতকে ভর্তি রাখার প্রয়োজন নেই। ‘ফিট সার্টিফিকেট’পেয়ে বোলপুরের বাড়িতে সোমবার ফিরে যান অনুব্রত। মঙ্গলবার হঠাৎই বোলপুরের বাড়িতে পৌঁছয় বোলপুর হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী তাঁকে দেখে জানান, পাইলসের সমস্যা বেড়েছে অনুব্রতর। কিন্তু হঠাৎ কেন তাঁর বাড়িতে বোলপুরের মেডিক্যাল টিম, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
চন্দ্রনাথ অধিকারী স্পষ্ট জানান, তাঁকে হাসপাতাল সুপার অর্থাৎ বুদ্ধদেব মুর্মু যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেসময় সুপার নিজেই ছুটিতে ছিলেন। ডেপুটি সুপার অন্তত তাই জানিয়েছিলেন। তাহলে ছুটিতে থাকাকালীন কীভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন? তা নিয়ে নতুন বিতর্ক। জেলা প্রশাসনের কেউ বক্তব্য দিতে নারাজ ছিলেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে জড়াতে না। তাহলে সব দায় গিয়ে পড়ে সুপারের ওপরেই। কিন্তু সরকারি ডাক্তারকে নেতার বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ? কেনই বা সাদা কাগজেই প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে উত্তর এদিনও দিলেন না বুদ্ধদেব মুর্মু।