বোলপুর: গরুপাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে এবার আরও সক্রিয় সিবিআই (CBI)। এবার সঞ্জীব মজুমদার নামে এক ব্যবসায়ীকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ব্যবসায়ী তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। সিবিআই-এর চার্জশিটেও এই সঞ্জীবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য এই সঞ্জীব মজুমদার দুই দফায় মোট সাড়ে আট লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই। এবার তাঁর থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য হাতে পেতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।
শুক্রবার বোলপুরের রতন কুঠিতে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে হাজিরা দিতে আসেন সঞ্জীব মজুমদার নামে এই ব্যবসায়ী। বীরভূমের আমোদপুর এলাকায় তাঁর নামে সাতটি রাইস মিল রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারের কাছে তাঁর ব্যাঙ্ক লেনদেন এবং শেষ কয়েক বছরের আয়কর সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তাঁর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত দিকগুলি খতিয়ে দেখতে পারেন সিবিআই অফিসাররা।
এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কিংবা তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর কী কী বিষয়ে যোগাযোগ ছিল, সেই সব দিকগুলিও খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গরু পাচারের টাকা ঘুরপথে এই সঞ্জীব মজুমদারের রাইসমিলগুলিতে খাটানো হয়েছে কি না, সেই সব বিষয়গুলিরও উত্তর খুঁজছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
গরু পাচারের তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগারে। একাধিকবার জামিনের আবেদন জানালেও সেই আবেদন ধোপে টেকেনি আদালতে। এবার অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ সঞ্জীব মজুমদারকে বোলপুরের রতন কুঠিতে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বেশ কিছু নথি নিয়ে সিবিআই গোয়েন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন তিনি। এখন দেখার সঞ্জীব মজুমদারের থেকে কোন কোন নতুন তথ্য পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা।