Bibhas Adhikari: ‘সিপিএম-কে শেষ করতে মমতা মোদীর সঙ্গে কাজ করুন’, পরামর্শ বীরভূমের তৃণমূল নেতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 22, 2022 | 5:16 PM

BIrbhum: বীরভূমের নলহাটির কৃষ্ণপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

Bibhas Adhikari: সিপিএম-কে শেষ করতে মমতা মোদীর সঙ্গে কাজ করুন, পরামর্শ বীরভূমের তৃণমূল নেতার
বিভাস চন্দ্র অধিকারী (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

বীরভূম: বিস্ফোরক বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী। প্রয়োজনে সিপিএমকে শেষ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মিলে কাজ করার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল এই নেতা। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-কে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার উপদেশও দেন তিনি।

বীরভূমের নলহাটির কৃষ্ণপুরের তৃণমূল প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দিন কয়েক আগে তাঁর কলকাতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি-র আধিকারীকরা।

কী বলেছেন বিভাস?
‘দিদির উচিত প্রয়োজনে মোদীজীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই বর্বর পার্টিটাকে (সিপিএম) শেষ করে দেওয়া যায় কোনও দিনও মাথা না তুলতে পারে তার ব্যবস্থা করা উচিত। এটা তৃণমূল-বিজেপি উভয়কেই আমার সাজেশন।’

বীরভূম বিজেপি জেলা সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, ‘বিভাস অধিকারী আজকে যে বড়-বড় কথা বলছেন সেই বলার অধিকার ওনার চলে গেছে। নিজের প্রাণের জ্বালায় এই সব বলছে। বিজেপি তাদের নিজেদের জায়গায় ঠিক আছে। দিদি-দাদা যেই আসুক না কেন! কাউকে শেষ করতে হলে বিজেপি একাইল ঠিক আছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে দল ছাড়েন এই তৃণমূল নেতা।নিজের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার যখন শরীর ভাল ছিল তখন দলের জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছি। শেষ লোকসভা ভোটের সময় আমাদের প্রার্থী শতাব্দী রায়কে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি এবং ভোটের প্রচার করেছি। এখন আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ তাই আর পারব না। হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা রয়েছে আমার। এছাড়াও হাতের পেশিগত সমস্যা রয়েছে। এই অবস্থায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভোট করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এর ঠিক দু’দিন পরই তাঁর কলকাতার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এরপর আজ এমন মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

 

 

 

 

 

 

 

Next Article