বীরভূম: গরু পাচার মামলায় এবার বীরভূমে তদন্তকারী দল। ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্য হাতে পেতে পরপর তিন ব্যাঙ্কে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের অনেকেরই শেষ কয়েক বছরে ব্যাঙ্ক লেনদেনের নথি চেয়েছে সিবিআই। নথি হাতে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে গেলেন ব্যাঙ্ক কর্মী। এবার আর অনুব্রত মণ্ডল একা নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ, আত্মীয় পরিজনদেরও তালিকা তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তাঁদেরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি হাতে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, অনুব্রত মণ্ডল অনেকক্ষেত্রে নিজের নামে না হলেও আত্মীয় পরিজন ও ঘনিষ্ঠদের কাছে টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন। তাঁদের মাধ্যমে কোনও আমানতও গচ্ছিত রাখতে পারেন তিনি। সেই তথ্য হাতে পেতেই এবার ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
বুধবার সকালে পূর্বপল্লিতে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে এক আধিকারিক গাড়ি নিয়ে বের হন। তারপর বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকার চারটি ব্যাঙ্কে যান। তার মধ্যে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক। সেখানে ওই নামের তালিকা ধরে অ্যাকাউন্টগুলিতে শেষ চার পাঁচ বছর ধরে কত টাকার লেনদেন হয়েছে, তা জানতে চান।
সিবিআই-এর তরফে লিখিত ভাবে সেই নোটিস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের একজন কর্মী ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে যান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেই সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যেখানে গড়মিল রয়েছে, অর্থাৎ যাঁদের নামে সেই অ্যাকাউন্ট, তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে সিবিআই।
এদিকে, গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানকেও তলব করেছে সিবিআই। গরু পাচার মামলায় আজ নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ।