রামপুরহাট : এবার রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড (Bagtui Massacre) নিয়ে নাজিমা বিবির স্বামী সেকলাল শেখকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই অফিসাররা। সেকলালের থেকে বগটুইয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেলে তাই মিহিলাল শেখকে সঙ্গে নিয়ে কুমারদা গ্রামে সেকলাল শেখের মেয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। সেখান থেকে সেকলালকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এদিকে সেকলাল ও মিহিলালকে নিয়ে সিবিআই বীরভূমের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ঢোকার পরই ক্যাম্প অফিসে পৌঁছে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও।
বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী নাজিমা বিবি সোমবার রামপুরহাট হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। স্ত্রী মৃত্যুর পর নাজিমার স্বামী সেকলাল শেখ একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বলেছেন, ভাদু শেখের কালো কারবারির ভাগ পেতেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। তাঁর অভিযোগ, ধৃত আনারুল ছাড়াও, অনুব্রত মণ্ডল, এসডিপিও এবং আইসি ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এমন সব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে আসছিলেন তিনি সোমবার থেকে।
নাজিমা বিবির স্বামী দাবি করেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের কাছে সঙ্গে সঙ্গে খবর পৌঁছে গিয়েছিল। তিনি চাইলেই এই আগুন লাগানো আটকাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এই সব দাবি কীসের ভিত্তিতে করছেন সেকলাল শেখ, সেই সব দিকগুলি খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। তাঁর কাছে এমন কী তথ্য রয়েছে, যার থেকে তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন, সেই সব নিয়েই আরও বিস্তারিত জানতে চাইছেন সিবিআই অফিসাররা।
উল্লেখ্য, মিহিলাল শেখ ও সেকলাল শেখ উভয়েই নিজেদের ওই রাতের নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করছেন এবং তাঁরা নিজেদের নিকট আত্মীয়দের হারিয়েছেন এই হত্যাকাণ্ডে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের এই বয়ান বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে গণ্য করা হবে বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: ‘অনুব্রত চাইলে এই গণহত্যা রুখতে পারতেন, কিন্তু আটকাননি’, ফের বিস্ফোরক নাজিমা বিবির স্বামী