AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শরীরটা ভাল নেই, করোনাতেও ‘ভয়’, সিবিআইয়ের কাছে দু’ সপ্তাহ সময় চাইলেন ‘কেষ্ট’

অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) আর্জিতে সিবিআই সাড়া দেয় নাকি নতুন করে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়, নজর সেদিকেই।

শরীরটা ভাল নেই, করোনাতেও 'ভয়', সিবিআইয়ের কাছে দু' সপ্তাহ সময় চাইলেন 'কেষ্ট'
নিজস্ব চিত্র।
| Updated on: Apr 27, 2021 | 9:35 AM
Share

বীরভূম: শরীর ভাল নেই। কিডনির সমস্যা। তার মধ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত। বাড়ির বাইকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই এখনই সিবিআই (CBI) দফতরে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। গরুপাচারকাণ্ডে তলবের পর তদন্তকারীদের জানালেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে ২ সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক, আর্জি জানিয়েছেন নিজাম প্যালেসে।

গরুপাচার মামলায় সোমবারই অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবারই তাঁর হাজিরার কথা ছিল। অনুব্রতের সঙ্গে তাঁর এক সঙ্গীকেও তলব করা হয়। তবে সিবিআই ডাকলেই যে যেতে হবে তা মানতে চান না অনুব্রতর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মিনার্ভা থিয়েটারে বসে তিনি পছন্দের ‘কেষ্ট’কে পরামর্শও দেন, “একদম যাবি না।”

মমতার কথায়, “নির্বাচনের আগে সিবিআইয়ের দুটো লোক গিয়ে কেষ্টকে (অনুব্রত মণ্ডল) বলছে দেখা করতে। কেন যাবে? ২৯-এ ওদের ওখানে ভোট। আমি বলে দিয়েছি একদম যাবি না। স্ট্রেট বলবি, ইলেকশন প্রসিডিউর ওভার হবে। তার পর যাব।”

যদিও বীরভূমের দুঁদে ‘কেষ্ট’ তদন্তকারীদের মুখের উপর সটান আর বলতে পারলেন না ‘যাব না’। সিবিআই হাজিরা এড়াতে এগিয়ে দিলেন করোনা কাঁটা, শারীরিক সমস্যাকে। অনুব্রত জানিয়েছেন, “আমি আইন মেনে চলি। অসুস্থতার কারণে ২ সপ্তাহ আমাকে সময় দেওয়া হোক।” অন্যদিকে তাঁর সঙ্গীর বক্তব্য, বাড়িতে অনেকেই করোনা আক্রান্ত। তাই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। এখনই বাড়ির বাইরে বেরোনো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: ‘দয়া করে অক্সিজেন অপচয় করবেন না’, হাসপাতালগুলিকে নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতর

তবে সিবিআই অনুব্রতর আর্জি মঞ্জুর করে নাকি নতুন পরে ফের নোটিস ধরায় এখন সেটাই দেখার। এদিকে অষ্টম দফায় ২৯ এপ্রিলই ভোটগ্রহণ বীরভূমের একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে। তার আগে অনুব্রতের এই ‘টানাপোড়েন’-এর পিছনে বিজেপির মদতই খুঁজে পাচ্ছে শাসকদল। সিবিআই দেখিয়ে বিজেপি পরোক্ষভাবে তাদের চাপে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ। যদিও বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “বহুবারই দেখেছি এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ডাকলেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এটা তাঁদের ব্যাপার। তদন্তকারীরা সবটাই খতিয়ে দেখবেন। তবে সংবিধানের শপথ নিয়ে মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবে পরামর্শ দিলেন তুমি যাবে না? এটা তো অসাংবিধানিক। দেশের আইন ব্যবস্থাকে প্রকাশ্যে বুড়ো আঙুল দেখানো।”