বীরভূম: আবারও বড়সড় সাফল্য বীরভূম জেলা পুলিশের। খয়রাশোল থানার দহল গ্রামের একটা অবৈধ কয়লা ডিপোর হদিশ মিলল। সেখান থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রায় ৮০ মেট্রিক টন অবৈধভাবে মজুত করা কয়লা উদ্ধার করল খয়রাশোল থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অবৈধ কয়লা ডিপোর মালিক ফরিদ খানকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অবৈধ ভাবে ডিপো করে কয়লা পাচার করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের কাছে খবর আসতেই পুলিশ নজরে রেখেছিল তাঁকে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুবরাজপুরে সিআই মাধবচন্দ্র মণ্ডল ও খয়রাশোল থানার ওসি সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ ফোর্স নিয়ে আচমক দহল গ্রামে অবৈধ কয়লা ডিপোয় হানা দেয় এবং সেখান থেকেই ৮০ মেট্রিক টন অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে খয়রাশোল থানার পুলিশ গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ফরিদ খানকে। তাঁকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, ফরিদ খানের ছেলে খয়রাশোল থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কর্মরত। আইনের রক্ষক হয়ে কীভাবে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের বাবা এই অবৈধভাবে কয়লা ব্যবসা করত, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
কয়লা পাচারের তদন্তে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অত্যন্ত তৎপর। ইতিমধ্যেই ইসিএলের ৮ কর্তা আপাতত সিবিআই-এর জেল হেফাজতে। কয়লা পাচার মামলাতে ইতিমধ্যেই ইডির জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁকে এর মধ্যে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁর শ্যালিকাকেও। কয়লা পাচারের মূূল চক্রী ও কিংপিনরা আপাতত তদন্তকারীদের ডেরায়। তবুও কি থামছে পাচার? এখনও জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে যে পাচারকারিরা অত্যন্ত সক্রিয়, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এই ব্যক্তির কাছ থেকে এই পাচার সংক