বীরভূম: দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। যার জেরে টেকা দায় হয়ে পড়েছিল আশে-পাশের বাসিন্দাদের। এরপর পাড়ার একটি ক্লাবকে খবর দেন এলাকাবাসী। ক্লাবের ছেলেরা বাড়ির ভিতর আসতেই উদ্ধার হয় সত্য ঘটনা।
বীরভূমের দুবরাজপুরের ঘটনা। ঘরের ভিতর এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম সঞ্জয় দাস (৩৫)। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় পড়শীরা স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের খবর দেন। বাড়ির ভিতর ঢুকতেই দেখেন গোটা ঘরময় ছাপ-ছাপ রক্ত। আর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরে সঞ্জয়বাবু নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছেন পাড়ার লোকজন। পারিবারিক অশান্তির জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে যেভাবে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এবং শরীর জুড়ে পোকা, তাতে কীভাবে মৃত্যু তা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না। ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ তারপরই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃতের এক আত্মীয় বলেন, ‘আমার ভাইপো গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। প্রথমে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়ায়। সেটা দেখেই সন্দেহ হয় আমাদের। তারপর আমরা যাই। কিন্তু ঘরের মধ্যে প্রথমে কিছু খুঁজে পাইনি। এরপর পাশের বাড়ির লোকজনদের ডাকি। তারা খবর দেয় স্থানীয় একটি ক্লাবে। ক্লাবের ছেলেরা ঘরের দরজা ভাঙে। তখন দেখা যায় চাপ-চাপ রক্তের ছাপ। এরপর পুলিশ এসে দেখে ঘরের মধ্যে ঝুলছে ও। চারপাশে উড়ছে পোকা। দুর্গন্ধ বেরিয়েছে। পরিবারে কেউ নেই। মা-ও ছেড়ে চলে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে। মনে হয় অবসাদ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’