দুর্গাপুর : গরুপাচার থেকে কয়লাপাচার কাণ্ডে ক্রমেই তদন্তে গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই। এমতাবস্থায় এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও তদন্তের সুতো গোটাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাতেই চাপ বাড়ছে বীরভূম তৃণমূলের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal)। দুর্গাপুরের (CBI) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে গড়ে উঠেছে সিবিআইয়ের(CBI) অস্থায়ী ক্যাম্প। সেখানেই মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ হাজিরা দিতে আসেন বীরভূমের বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার (MSME) সদস্য চন্দ্রনাথ সিনহা। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনেই ইলামবাজারের গোপালনগরে খুন হয়েছিল বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। যা নিয়ে তোলপাড় হয় জেলার রাজনৈতিক মহল। সেদিন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে যাঁরা ফোনে কথা বলেছেন তাঁদের সকলকেই সাক্ষী হিসাবে ঢাকা হচ্ছে দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। সূত্রের খবর, এদিন চন্দ্রনাথ সিনহাকে প্রায় দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদের পরে বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল। ওনারা যা প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর দিয়েছেন। আগামীতেও তিনি সিবিআইয়ের তদন্তে সহযোগিতা করবেন।
অনুব্রত মন্ডলকে কী তিনি ফোন করেছিলেন? কী কথা হয়েছিল এ প্রশ্ন করা হলে কোনও কথাই বলতে চাননি চন্দ্রনাথ সিনহা। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। জেরার মুখে পড়েছিলেন খোদ অনুব্রতও। তবে তাঁর সাময়িক স্বস্তি মিললেও ছাড় পাচ্ছেন না তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর নিরাপত্তা রক্ষী সেয়গল হোসেন। যা নিয়েও বিগত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে চলছে বিস্তর চর্চা। এবার চন্দ্রনাথের ডাক পড়ায় তা নিয়েও বাড়ছে চাপান-উতর।