Jackpot: সকালে বেরোলেন খালি হাতে, দুপুরেই কোটিপতি ইসলামপুরের ফেরিওয়ালা!

Birbhum: রোজ ফেরি করে যা রোজগার হত তা দিয়ে সংসার চলত না। তাও কোনওরকম টেনেটুনে চলছিলেন। তাকিয়ে ছিলেন সুদিনের আশায়। অবশেষে ভাগ্য ফিরল। রাতারাতি কোটিপতি বীরভূমের ইসলামপুরের ফেরিওয়ালা সেখ এসহান।

Jackpot: সকালে বেরোলেন খালি হাতে, দুপুরেই কোটিপতি ইসলামপুরের ফেরিওয়ালা!
লটারি জিতে সেখ এহসান। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 7:05 PM

বীরভূম: রোজ ফেরি করে যা রোজগার হত তা দিয়ে সংসার চলত না। তাও কোনওরকম টেনেটুনে চলছিলেন। তাকিয়ে ছিলেন সুদিনের আশায়। অবশেষে ভাগ্য ফিরল। রাতারাতি কোটিপতি বীরভূমের ইসলামপুরের ফেরিওয়ালা সেখ এসহান।

কখন যে কার ভাগ্য ফিরে যায় সেটা আর কে বলতে পারে! যেমন বীরভূমের সেখ এসহান। মাত্র ৩০ টাকার টিকিটে কোটিপতি হলেন দুবরাজপুরের ইসলামপুর আশরাফিপাড়ার বাসিন্দা সেখ এহসান। পেশায় তিনি ফেরিওয়ালা। মা-বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মাটির বাড়িতে বসবাস তাঁর। তাও আবার ভাঙাচোরা। পুরসভার দেওয়া ত্রিপল খাটিয়ে কোনওরকম বসবাস। যেদিন অসুস্থ হয়ে ফেরি করতে বেরতে পারেন না, উনুনে হাঁড়ি চড়বে কীভাবে সেটাই চিন্তার হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে হা সি ফুটল সেখ এসহানের মুখে। আজ তিনি কোটিপতি। সৌজন্যে একটা ত্রিশ টাকার লটারির টিকিট।

সেখ এহসানের কথায়, “আমি ফেরির কাজ করি। রোজগার বলতে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে হয়। তার মধ্যে প্রতিদিন ৬০ টাকার টিকিট কিনতাম। তবে কোনও দিন জিতিনি। কিন্তু আজ সকালে আমি ৩০ টাকার টিকিট কিনি একটা। দুপুরে মেলাতে গিয়ে দেখি ১ কোটি টাকা জিতেছি!”

তা কী করবেন এত টাকা দিয়ে?

ইসলামপুরের ফেরিওয়ালা সেখ এসহানের কথায়, “আমি খুবই খুশি। এই টাকা দিয়ে নিজের সন্তানদের লেখাপড়া করাব।” তিনি যোগ করেন, “আমি ফেরি করি। ত্রিশ টাকার টিকিট কাটলাম। একটার সময় রেজাল্ট মেলালাম। প্রায় ৬০ টাকার টিকিট কাটি প্রতিদিন। কিন্তু লাগল আজকের একটায়। এখন এই টাকা দিয়ে একটা বাড়ি করব। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাতাম। কোনওরকম সংসার চলত। এবার বোধহয় ভাবনা দূর হল।”

আরও পড়ুন: Adhir Chaudhury: ‘বানিয়ে গল্প বলতে পারব না, বৈঠক হলে জানাব’, পুরভোটে কি ফের ‘হাতে-কাস্তে’? 

ছেলের লটারি জেতার খবরে খুশি সারা পরিবারষ আর সেখ এসহানের বাবা সেখ জাফর আলি জানান, “আমি নিজেও ফেরি করে সংসার নির্বাহ করি। তাই ছেলেও ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সে লটারিতে টাকা পেয়েছে শুনে আমরা খুব খুশি।” এসহানের মা নুরেমা বিবি জানান, “আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। দিন আনা দিন খাওয়া লোক আমরা। মাটির বাড়িতে বসবাস করি। এমনকী ছেলেদের পড়াশোনাও করাতে পারিনি। তার জন্য ফেরির কাজ করে সংসার চালায়। তাই এই টাকাতে প্রথমে ছেলেদের পড়াশুনা করাব। তারপর একটা ভালো বাড়ি বানাব।”

আরও পড়ুন: Hospital: ‘হাসপাতালেও নিরাপদ নই!’ রোগিণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত কর্মী

আরও পড়ুন: TET: চাকরি না দিলে পরিযায়ী শ্রমিক হতে হবে! নবান্নে গিয়ে গণ-আত্মহত্যার হুমকি ভাবী শিক্ষকদের 

আরও পড়ুন: Crime: বাজির আওয়াজে কেঁপে কেঁপে উঠছে শিশুরা, প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে হাঁসুয়ার কোপ তৃণমূল নেতার!