রামপুরহাট : ফের আনারুল হোসেনের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত। আজ রামপুরহাট মহকুমা আদালতের মুখ্য অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আনারুলের জামিনের আবেদন খারিজ করেন। তাকে পুনরায় ১৮ মে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এর পাশাপাশি আনারুলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানিয়েছেন, আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীকেও ভর্ৎসনা করেন বিচারক। বগটুইকাণ্ডে ধৃত আনারুলের বুধবার তিনটি মামলার শুনানি ছিল রামপুরহাট আদালতে। তার মধ্যে একটি জামিনের আবেদন। দ্বিতীয় আনারুলকে ডিভিশন ওয়ান অভিযুক্তের মর্যাদা দেওয়া এবং তৃতীয়টি আনারুলের মোবাইল আদালতে জমা দেওয়ার মামলা।
আনারুলের আইনজীবী জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিভিশন ওয়ানের আবেদনের বিরোধীতা করতে গিয়ে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন। এর পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইল জমা না দেওয়ার জন্যও ভর্ৎসনা করা হয় সিবিআইকে। এমনই জানিয়েছেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। শুনানি সম্পূর্ণ না হওয়ায় আগামী ১৮ মে ফের এই নিয়ে শুনানি হবে। আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা জানিয়েছেন, “সিবিআইয়ের আইনজীবীকে সতর্ক করে দিয়েছে আদালত। ডিভিশন ওয়ান অভিযুক্ত সম্পর্কে যখন তাঁরা মন্তব্য করছিলেন, তখন আদালত সিবিআইয়ের আইনজীবীকে সতর্ক করে দেয় এক্তিয়ার বহির্ভুত কিছু না করার জন্য। ওনারা ডিভিশন ওয়ান বন্দির রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন স্থানীয় স্তরে অনুসন্ধান করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেও ডিভিশন ওয়ান কেন হবে না, তা নিয়ে মন্তব্য করেন। কিন্তু আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ডিভিশন ওয়ান হবে কি হবে না, সেটি আদালতের বিষয়। সেটি কখনও কোনও তদন্তকারী সংস্থা ঠিক করে দিতে পারে না। আদালত তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়েছিল, আদৌ আনারুল এই কাজগুলির সঙ্গে যুক্ত কি না, শুধু সেইটুকু জানাতে বলেছিল।”
উল্লেখ্য, আনারুলের সামাজিক ক্রিয়াকলাপের যে কথাগুলি বলা হয়েছে, সেগুলি আদৌ করেছিল কি না, সিবিআইকে তা অনুসন্ধান করে দেখে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল আদালত। আনারুলের আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী, এই বিষয়ে সিবিআই আইনজীবী মন্তব্য করায় আদালত জানিয়েছে, “আপনাদের কাছ থেকে আমরা মতামত চাইনি। আমরা অনুসন্ধান করতে বলেছিলাম, আদৌ তিনি এই কাজগুলি করেছিলেন কি না।”