Sukanya Mondal Property: ‘সব বাবা জানে’ বলেও পার পেলেন না সুকন্যা! কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তির বহর দেখলে চোখ কপালে উঠবে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Apr 26, 2023 | 11:12 PM

Sukanya Mondal Arrest: সুকন্যা বার বার দাবি করেছেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না, যা জানার তা তাঁর বাবা জানেন। কিন্তু সুকন্যার এই বয়ানে সন্দেহ ছিল ইডির অফিসারদের। শেষ পর্যন্ত বুধবার গ্রেফতার হন সুকন্যা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সুকন্যার সম্পত্তির বহর।

Sukanya Mondal Property: সব বাবা জানে বলেও পার পেলেন না সুকন্যা! কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তির বহর দেখলে চোখ কপালে উঠবে
অনুব্রতর সঙ্গে সুকন্যা মণ্ডল (ফাইল ছবি)

Follow Us

বীরভূম: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। গরুপাচারের বিপুল অঙ্কের টাকা কোথায় যাচ্ছিল, কোন পথে ঘুরছিল, সেই সবের তদন্ত করতে গিয়ে বার বার ইডির (Enforcement Directorate) তদন্তকারী সংস্থার নজর গিয়েছে সুকন্যার নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির উপরে। সুকন্যার নামে চালকল, সুকন্যার নামে ব্যবসা… বিভিন্ন তথ্য রয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। নীর ডেভেলপার নামে একটি সংস্থাও মেয়ের নামে খুলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সুকন্যা বার বার দাবি করেছেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না, যা জানার তা তাঁর বাবা জানেন। কিন্তু সুকন্যার এই বয়ানে সন্দেহ ছিল ইডির অফিসারদের। শেষ পর্যন্ত বুধবার গ্রেফতার হন সুকন্যা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সুকন্যার সম্পত্তির বহর।

দুটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। একটি সংস্থা, নীর ডেভলপার এবং অন্য একটি সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম। এই এএনএম অ্যাগ্রোকেমের অধীনে রয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিল। এর পাশাপাশি বোলপুরের মকরমপুরে দুটি প্লট রয়েছে সুকন্যার নামে। বল্লভপুরেও রয়েছে চারটি প্লট। কালিকাপুর ও গয়েশপুর মিলিয়ে সুকন্যার নামে ২৮টি জমির নথির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নিউটাউনেও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে সুকন্যার নামে।

উল্লেখ্য, যে দুটি সংস্থার সঙ্গে সুকন্যার নাম জড়িয়ে রয়েছে, সেই দু’টি সংস্থার মাধ্যমে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। কেষ্টকন্যা সুকন্যা একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সেখান থেকে এত সম্পত্তির বহর কীভাবে তৈরি হল, তা অনেকদিন থেকেই তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে ছিল। এর আগে বেশ কয়েকবার ইডির দিল্লি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এদিন দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি।

Next Article