বীরভূম: বীরভূমের কঙ্কালীতলায় তন্ত্র আর মন্ত্রের সাথে মিলে মিশে একাকার সাধনার আর এক আঙ্গিক আউল বাউল।বীরভূমের পরিচয় যদি শক্তিদেবীর সাধনভূমি হিসাবে হয়ে থাকে, তাহলে সেই বীরভূমের আরও এক পরিচয় হতেই পারে আউল বাউলের উর্বরভূমি।
প্রাচীনকাল থেকে বীরভূমের লাল মাটিতে মিশে আছে আউল বাউলের সহজিয়া সুর। দীপান্বিতা অমাবস্যায় সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় যে সুর সাধনা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল তন্ত্র মন্ত্র সাধনার সঙ্গে। আউল বাউলেরা বলছেন, বাউলগান তো তন্ত্র মন্ত্রের মতোই দেবী আরাধনার আরও এক পথ।
রামকৃষ্ণ বলে গিয়েছে, “যত মত তত পথ।” দেবী আরাধনার ক্ষেত্রেও সেই নানা পথেরই সন্ধান মেলে ৫১ সতী পীঠের অন্যতম পীঠ কঙ্কালীতলায়। দীপান্বিতা অমাবস্যায় মন্দিরের গর্ভগৃহে যখন তন্ত্র মন্ত্রে পূজিতা হচ্ছেন দেবী। তখন মন্দির চত্বরে চলছে আরও এক সাধনা।
বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাউল শিল্পীরা জড়ো হয়েছেন মন্দির চত্বরে। বাউলের একতারা আর বাঁশির সহজিয়া সুরে যেন সেই দীপান্বিতারই চলছে সমবেত আরাধনা। কঙ্কালীতলার মন্দির চত্বরে বাউলের একতারা আর বাঁশির কোরাস দ্বীপান্বীতার কাছে যেন সেই আদি অনন্ত কালের আলোর প্রার্থনাই জানিয়ে চলেছে।বাউল সাধক বললেন, “স্থান-কাল-সময় আছে মায়ের সাধনা করার জন্য। আমরা গানের মাধ্যমেই করছি সাধনা।”