কলকাতা: ডিসেম্বর জল্পনা নিয়ে যখন বাংলার রাজনীতিতে চলছে তুমুল চর্চা, তারই মধ্যে তরজার বিষয় হয়ে উঠল লালন শেখের মৃত্যু। ঘটনার ৯ মাস পর ফের শিরোনামে উঠে এল বগটুই-কাণ্ড। সেই ঘটনায় সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এমনকী শুভেন্দু ‘১২ জানুয়ারি’ তারিখটির কথা উল্লেখ করে যে জল্পনা তৈরি করেছিলেন, তার সঙ্গেই লালনের মৃত্যুর ঘটনাকে মিলিয়ে দিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল।
সোমবার সিবিআই হেফাজতে ভাদু শেখ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী লালন শেখের মৃত্যুর পর কুণাল ঘোষ বলেন, অত্যন্ত রহস্যজনক মৃত্যু। তাঁর প্রশ্ন, ‘পার্শিয়াল হ্যাঙ্গিং’ বলে সিবিআই উল্লেখ করলেও, যে উচ্চতা থেকে এটা হয়েছে, তাতে সেটা কি সম্ভব? যেহেতু এটি স্পর্শকাতর মামলা, সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কুণাল।
একেবারে সরাসরি গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘সিবিআই-এর দক্ষতাকে সম্মান করি, কিন্তু সিবিআই বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করে। এই মৃত্যুর পিছনে বিজেপির হাত আছে কি না দেখতে হবে।’ ১২ ডিসেম্বর তারিখ ঘোষণার সঙ্গে এই মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক আছে কি না, সেই জল্পনাও উস্কে দেন তিনি। তাঁর দাবি, শুভেন্দুকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘এটাই কি ছিল ১২? এই রহস্য মৃত্যুর সমাধানে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করতে হবে।’
এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ডিসেম্বর মাসের ৩ টি তারিখের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর, দেখতে থাকুন।’ ঘটনাচক্রে ১২ তারিখেই লালনের মৃত্যু হল সিবিআই হেফাজতে। তাই কুণালের প্রশ্ন, ‘১৪ আর ২১ তারিখে কি আর কাউকে মারা হবে? কারও প্রাণনাশ হবে?’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘লালন শেখের মৃত্যু কাদের সাহায্য করবে? কাদের লোক ছিলেন উনি? মানুষ সব জানে।’ তাঁর কথায়, নিশ্চয়ই আদালত এবং সিবিআই এই মৃত্যু রহস্যের তদন্ত করে সত্যিটা সামনে নিয়ে আসবে।