বীরভূম: লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রামপুরহাটে। খবর পেয়েই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছেছে তাঁর পরিবার। বগটুই-কাণ্ডের (Bagtui Massacre) অন্যতম অভিযুক্ত লালনের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের মুখে একটাই কথা ‘শাস্তি চাই, শাস্তি চাই।’ এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এর দিকেই আঙুল তুলছে লালনের পরিবার। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পেই ছিলেন লালন শেখ। সোমবার বিকেল ৪ টে ২৫ মিনিটে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
লালনের দিদি এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, গ্রেফতার হওয়ার পর এক দুপুরে লালনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বোনের বাড়িতে। সেখানে সিবিআই হার্ডডিস্কের খোঁজ করেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। শুধু বোনের বাড়ি নয়, বগটুইতে লালনের নিজের বাড়ি, তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
কাঁদতে কাঁদতে লালনের দিদি এদিন বলেন, ‘ছেলেকে এত মেরেছে, যে ভাল করে দাঁড়াতে পারছিল না। ভাড়াটিয়ার কাছে একটু জল চেয়েছিল সেদিন। সেটাও খেতে দেয়নি।’ শুধু দিদি নয়, লালনের স্ত্রী এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর মুখেও সিবিআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘সিবিআই আমার বাড়িটাকে শেষ করে দিল। আমার স্বামীকেও মেরে দিল সিবিআই। আমার সামনেই মেরে দিল।’
তবে এই ঘটনার জেরে যাতে আরও একটা বগটুই-এর মতো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ। এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে ঘটনাস্থলে।
সিবিআই-এর দাবি, এদিন বিকেলে যখন দুই তদন্তকারী অফিসার আদালতে গিয়েছিলেন, সেই সময় বাথরুমে ঢুকে আত্মঘাতী হন লালন শেখ। পরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যেই মানবাধিকার কমিশনকে এই বিষয়ে অবগত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।