AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata Banerjee: বন্যায় মৃত্যু ২৮ জনের, পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার

Mamata Banerjee: বন্যায় দুর্গতদের জন্য বাড়ি, মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কী কী বললেন, দেখুন এক নজরে

Mamata Banerjee: বন্যায় মৃত্যু ২৮ জনের, পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2024 | 3:07 PM
Share

বীরভূম: বানভাসি এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যায় দুর্গতদের জন্য বাড়ি, মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কী কী বললেন, দেখুন এক নজরে KEY HIGHLIGHTS

  1. আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসযেহেতু বীরভূমে অনেকগুলো জায়গায় বন্যা হয়েছিল, এখনও কাদা শুকোয়নি, জলটা নেমেছে। দুবরাজপুর, রামপুরহাট, লাভপুর, সিউড়ি-তে প্রচুর হয়েছিল। আমরা দফতরগুলোকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছি, বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জিআর চলবে, যতক্ষণ না অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে। আগামী দুদিন ভারী বর্ষার পূর্বাভাস রয়েছে: মমতা
  2.  নজর গ্রামীণ রাস্তায় গ্রামীণ অঞ্চলের রাস্তা যা ভেঙে গিয়েছে, বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছে, রাস্তা সারাইয়ের জন্য বরাদ্দ টাকা সম্পূর্ণটাই খরচ হবে। এমপি খাতের এক কোটি টাকা স্কুল মেরামতি, আর চার কোটি টাকা রাস্তা মেরামতিতে খরচ হবে। বাকি আমরা পঞ্চায়েত দফতর থেকে সার্ভে করে দেখে নেব: মমতা
  3. বন্যায় বিপর্যস্তদের জন্য বাড়ি ১১ লক্ষ টাকা ডিসেম্বরে দেওয়া হবে। তিন বছর কেন্দ্র গ্রামীণ আবাসের কোনও টাকা দেয়নি। তাছাড়াও ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা পাই। প্রতি বছর ডিভিসি জল ছাড়ায় ম্যান মেড ফ্লাড হয়। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের চিন্তা বাড়ে। বাংলার বর্ষায় বাংলায় বন্যা হয় না। ৯৯ সালে আমি তখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, আমার বাড়িতে কোমর সমান জল। আমরা সরকারে আসার পর থেকে প্রতিনিয়ত মনিটারিং করি। এই প্রথম আমরা দেখলাম এরকম। ডিভিসির জল নাকি জলশক্তি মন্ত্রক থেকে ছাড়া হয়। কালকেও দেখেছেন দুর্গাপুর ব্যারেজে জলের স্রোত কীভাবে আসছে।  খানাকুল ১-২, ঘাটাল, অনেকটাই জলের তলায়। আমি দেখে আসার পর মন্ত্রী-বিধায়করা যান। মুখ্যসচিব যান। প্রশাসন তৎপর। কিচেন চলছে। দলের পক্ষ থেকে ড্রাই ফুড দেওয়া হচ্ছে।
  4. ডিসেম্বরেই প্রথম কিস্তির টাকা ১১ লক্ষ বাড়ির মধ্যে, ৬৫ হাজার বাড়ি আমি ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর থেকে করে দিচ্ছি। বন্যায় যে বাড়িগুলো সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত, ভেঙে গিয়েছে, আমার ১১ লক্ষ বাড়ি দেওয়ার তালিকার মধ্যে সেই বাড়িগুলো রয়েছে কিনা, দেখে নিতে বলেছি। সার্ভে বর্ষা শেষে শুরু হবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই প্রথম কিস্তির টাকা দেব। ৬০ হাজার বাড়ি সংখ্যালঘু দফতর থেকে করেছি। এখনও ৫০ লক্ষ গ্রামের বাড়ি আছে। এই ১৩ বছরে ৫০ লক্ষ বাড়ি আমরা করতে পেরেছি।  এখনও বাংলা গ্রাম ভিত্তিক। শহর কলকাতা কয়েকটা পৌরসভা ছেড়ে দিলে বাকিটা গ্রাম। গ্রামের অনেকে পাকাবাড়ি নিজেরাই করে নিয়েছেন। সরকার থেকে ৫০ লক্ষ করে দিয়েছি। এবার ১১ লক্ষ হাতে নিয়েছি। তাতে ৬০ হাজার যদি বাচে, সংখ্যালঘু দফতরের টাকা, এক-দেড় লক্ষ বাড়ি এর মধ্যে ঢোকাব। যেখান থেকেই পারি, করব: মমতা
  5.  রাস্তা মেরামতি যেখানে যেখানে সারা বাংলায় রাস্তা ভেঙেছে, পিএইচই কাজ করবে। পাইপ নিয়ে যেতে বলেছি। আগে পুরনোগুলো সারাবে। তারপর টাকা দেব: মমতা
  6. বিদ্যুৎ সংযোগ জল কমে গেলে বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে ঠিক থাকে, অনেক জায়গায় সমস্যা হয়েছে, জলের জন্য তারগুলো সারাতে পারেনি, সেগুলো মেরামতি করা হবে: মমতা
  7. চাষিদের সাহায্য কৃষকদের যে জমি নষ্ট হয়েছে, শস্য নষ্ট হয়েছে, কৃষকদের সাহায্য করা হবে। আমি শস্যবিমা করা থাকে। আগে চাষিদের টাকা দিতে হত, এখন আর দিতে হয় না। চাষিরা বিপদে পড়লে আমরা মূল্যায়ন করে, টাকা দিই। কৃষির ওঙ্কার মিনা রয়েছেন, জল সরে গেলেই গোটা বিষয়টার পর্যালোচনা করা হবে। ধান কেনার কাজ যেন বন্ধ না হয়: মমতা
  8. কর্মশ্রী একশো দিনের কাজ, এখন ৫০ দিনের কর্মশ্রী চালু করেছি, সেটা যেন চালু থাকে, মিড ডে মিল যেন চালু থাকে। আইসিডিএস সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলেছি: মমতা
  9. ভিন রাজ্যে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণপরিযায়ী শ্রমিক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ থেকে খুন করে দেহ বাংলায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মালদহের এক পরিযায়ী শ্রমিকের শুনেছি, মাথা-দেহ আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে: মমতা
  10. বন্যায় দুর্গতদের ক্ষতিপূরণবন্যাতেও ২৮ জন মারা গিয়েছেন. তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। হয়তো অর্থ নগন্য। কিন্তু পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের চেষ্টা।