মমতার হাতে কমিশনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট! বিজেপির ঘর থেকেই পেয়েছেন, দাবি নেত্রীর

Apr 24, 2021 | 3:16 PM

শনিবার বীরভূমে ভার্চুয়াল সভায় বসে একের পর এক বোমা ফাটালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দিলেন কমিশনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এর প্রিন্ট আউট।

মমতার হাতে কমিশনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট! বিজেপির ঘর থেকেই পেয়েছেন, দাবি নেত্রীর
সংবাদমাধ্যমের হাতে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তুলে দিলেন মমতা

Follow Us

বোলপুর: কমিশনের বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ প্রথম নয়। বিজেপির হয়ে কমিশন কাজ করছে বলে আগেও অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। এবার একেবারে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তুলে বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। ভোটের শেষ বেলায় এসে তাঁর দাবি, পুলিশ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে পরিকল্পনা করেই। এই অভিযোগ নিয়ে ভবিষ্যতে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।

শনিবার বীরভূমে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডল কে পাশে বসিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তিনি। তাঁর দাবি এমন কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তার হাতে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কমিশনের পুলিশ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা ‘তৃণমূলের গুন্ডা’, ‘ট্রাবল মঙ্গার’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করছেন। পরিকল্পনা করে ভোটের আগে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এছাড়া তাঁর দাবি কমিশনের জন্যেই করোনা সংক্রমণ এত বেশি ছড়িয়েছে বাংলায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি আগে প্রচার বন্ধ করে দিত, তাহলে এত বেশি সংক্রমণ ছড়াতে না।’ কিন্তু মমতার দাবি, যখন বিজেপির প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখনই সেই সিদ্ধান্তই দিয়েছে কমিশন।

এদিন তিনি বলেন, ‘কমিশনকে আমরা অনেক বেশি সম্মান দিয়ে ফেলেছি। তোমরা বিজেপির হয়ে কাজ করছ। তোমরা কি বিজেপির আয়না না ময়না? এবার একটা প্রতিবাদ জানানোর সময় এসেছে।’ কোন তৃণমূলের নেতা কর্মীকে আটক করলে তাঁরা যেন থানা ঘেরাও করেন, এমন পরামর্শ দিয়েছেন মমতা।

এদিন তাঁর হাতে ছিল একগুচ্ছ কাগজ। যেগুলি কমিশনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের প্রিন্ট আউট বলেই দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কোথা থেকে পেলেন এইসব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট? সেখানেও বিস্ফোরক মমতা। তাঁর দাবি, বিজেপির ঘর থেকেই এই গোপন চ্যাট পেয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘বিজেপির একটা দল আছে। তারাই আমার হাতে কাগজটা তুলে দেয়। আমাকে জোগাড় করতে হয় না।’ বিজেপি কমিশনের বিশেষ বন্ধু বলেও উল্লেখ করেন নেত্রী।

আরও পড়ুন: শেষ দু’দফার ভোটে রুখতে হবে বোমাবাজি, কড়া নির্দেশ কমিশনের

এ দিন যেসব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের প্রিন্ট আউট তিনি তুলে দেন, সেখানে লেখা রয়েছে, তৃণমূলের গুন্ডা বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে দিচ্ছে না। আর এই গুন্ডা শব্দেই আপত্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘গুন্ডা না বলে কর্মীও বলা যেত।’ এ ক্ষেত্রে কমিশন পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি ওই চ্যাটে এমন তথ্য দেওয়া আছে যে ভোটের আগে ঠিক কতজন ট্রাবল মঙ্গারকে আটক করা হয়েছে। আর এই ‘ট্রাভেল মঙ্গার’ তকমা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। সবশেষে মমতার দাবি, এসব করেও ৭০-্এর বেশি আসন পার করতে পারবে না বিজেপি, আর বাম-কংগ্রেস মিলে ২০-২২ টি আসন পাবে। তৃণমূলকে কেউ রুখতে পারবে না বলেই এদিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মমতা।

Next Article