বীরভূম: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ওঁরা। রোজের মতোই যাতায়াত ছিল। কিন্তু রবিবাসরীয় সকালটা যে এমন হবে তা বুঝে উঠতে পারেননি হয়ত। ইটভাটার পাশ দিয়ে হাঁটতেই-হাঁটতেই দেখে অবাক ওরা। সকাল-সকাল এ কী কাণ্ড।
বীরভূমের ঘটনা। ইটভাটার পাশ থেকে উদ্ধার যুবক-যুবতীর দেহ। মৃতদের নাম অবিনাশ বাউরী ও নন্দিতা বাউরী (১৬)। তাঁদেরকে ঝুলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এলাকায় আসে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে অবিনাশ বাউরি লেবারের কাজ করত অন্যদিকে নন্দিতা বাউরি এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতেন। দুই পরিবারই প্রেমের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে তাঁরা জানান, ওদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক ছিল কি না তাঁদের জানা নেই। অন্যদিকে, মেয়েটির মা বলেন, ‘আমি কিছুই জানিনা। এদর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা তাও বলতে পারব না। আজকে প্রতিবেশীরা জানালো আমায়। রাস্তার ধারে একটি ইটভাটায় ওরা আত্মহত্যা করেছে। সারারাত ঘুমোতে পারিনি। মেয়েটা চলে গেল।আমাদের সঙ্গে কোনও কথাই আলোচনা করত না।’
বস্তুত, কয়েকদিন আগে জেলা থেকে উঠে এসেছিল খুনের খবর। রোজকার ঝামেলায় বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। তার ওপর আবার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা স্ত্রীর পক্ষেই কথা বলতেন। সব রাগ গিয়ে পড়ে শ্বশুরবাড়ির ওপরেই। স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা আর তার জেরে শ্বশুর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দক্ষিণ তিলপাড়া সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে বীরভূমের দক্ষিণ তিলপাড়া সংলগ্ন এলাকার সুস্মিতা বাদ্যকরের সঙ্গে বিয়ে হয় তিলপাড়া বিদেশি পাড়ার বাবু দাসের। তবে বিয়ের পর থেকেই তাঁদের দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। গত পাঁচ বছর ধরে সুস্মিতা দাস অন্যত্র থাকা শুরু করেন।
পেট্রোল পাম্পের কাজ-সহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে সংসার চালাতে শুরু করেছিলেন তিনি। দুই মেয়েকে নিজের কাছেই রেখেছিলেন সুস্মিতা। তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
সম্প্রতি তাঁর ভাই মারা যাওয়ার পর তিনি দক্ষিণপাড়ায় মায়ের কাছে এসে থাকা শুরু করেন। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর স্বামী বাবু দাস মায়ের বাড়িতে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ।