বীরভূম: কী কাণ্ড! তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম প্রকাশিত হল বিজেপির সি-মণ্ডলের তালিকায়। শুধু মণ্ডলের তালিকা নয় পাশাপাশি সহ-সভাপতি ও সম্পাদক পদেও নাম প্রকাশিত হয়েছে।
বীরভূমের নানুরের ঘটনা। জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি করতেন নানুরের সি মণ্ডলের সহ-সভাপতি মনোজ লোহার ও দেবাশীস গড়াই। তাঁরা নানুর বিজেপি সি-মণ্ডলের সম্পাদক ছিলেন। এরপর বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। যদিও, এখন নিজেদেরকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে দাবি করেছেন ওই দু’জন।
এরপর শনিবার নানুর ব্লকে বিজেপির সি-মণ্ডলের পদের তালিকা প্রকাশিত হয়। সঙ্গে নানুরের জলঙ্গি অঞ্চলের প্রাক্তন দুই বিজেপি কর্মীর নামও প্রকাশিত হয়। তাঁদের ফের বিজেপির তরফ থেকে নানুরের সি মণ্ডলের সহ-সভাপতি ও সম্পাদকের তালিকায় নাম প্রকাশিত হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর প্রাক্তন নানুরের সি মণ্ডলের সহ-সভাপতি মনোজ লোহার এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নানুরের জলুন্দি অঞ্চলের শ্রমিক সংগঠনের সহ-সভাপতি। অন্যদিকে, প্রাক্তন নানুরের সি মণ্ডলের সম্পাদক দেবাশীস গড়াই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নানুর জলুন্দি অঞ্চলের গ্রাম্য কমিটির সদস্য। ওই দুই তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘আগে আমরা বিজেপি করতাম। বিধানসভা ভোটের পর আমরা তৃণমূল করা শুরু করি। তবুও আমাদের নাম প্রকাশ হয়েছে বিজেপি মণ্ডল সভাপতিতে। কেন তা জানি না।’
এ দিকে, কয়েকদিন আগে বীরভূমে প্রধানমন্ত্রীর নাম করে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বীরভূমের খয়রাশোল থানার উপর কেনান গ্রামের উজ্জ্বল মন্ডল নামে এক ব্যক্তির কাছে ফোন আসে। সেই সময় ফোনটি নাবালক ছেলের কাছে ছিল। অভিযোগ, প্রতারক ওই নাবালকের সঙ্গেই কথা বলতে থাকেন। তার কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়। ওটিপি পাঠানো হয়।
প্রতারিতের বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং ওটিপি চাওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বরও নেওয়া হয়। দ্বিতীয়বারও ওটিপি দিয়ে দেয় ওই নাবালক। এইভাবে পরপর দুটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ব্যক্তির প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাবাকে সবটা খুলে বলে ছেলে। বিষয়টি জানতে পেরে তারা প্রথমে খয়রাশোল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সিউড়ি সাইবার সেল পুলিশ স্টেশনে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।