Partha Chatterjee: পার্থর সম্পত্তির দেখভাল করতেন তিনিই, বাড়ির সামনে তাঁরও নাম, শান্তিনিকতনে খোঁজ মিলল ‘মন্ত্রিমশাই’য়ের ‘ভাগ্নে’র

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 24, 2022 | 2:40 PM

Partha Chatterjee: এলাকায় তাঁর বেশ প্রভাবও ছিল। তাঁর প্রভাব ঠিক কতটা, তা বোঝা যায় গোয়ালপাড়া এলাকায় গেলে। শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়া এলাকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের 'তিতলি' বাড়ির সামনে লেখাও আছে এই রাজীব দে-র নাম।

Partha Chatterjee: পার্থর সম্পত্তির দেখভাল করতেন তিনিই, বাড়ির সামনে তাঁরও নাম, শান্তিনিকতনে খোঁজ মিলল মন্ত্রিমশাইয়ের ভাগ্নের
শান্তিনিকেতনে পার্থর বাড়ির সামনে লেখা রাজীব দে'র নাম

Follow Us

বীরভূম: শান্তিনিকেতনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে সাতটি বাড়ি। কিন্তু সেই বাড়ি দেখভাল করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভাগ্নে’। মন্ত্রী নিজে খুব একটা শান্তিনিকেতনে আসেননি কখনই, তাঁর বাড়ি দেখভাল করতেন ‘ভাগ্নেই’। শনিবার থেকে পার্থ ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। তারপর থেকেই শান্তিনিকেতন জুড়ে আলোচনায় রয়েছে সেই ভাগ্নের নামও। কিন্তু কে এই ভাগ্নে? জানা যাচ্ছে, রাজীব দে নামে এক ব্যক্তি শান্তিনিকেতনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৭ টি বাড়ি, ১ টি ফ্লাটের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। প্রায় আনুমানিক ২০ বিঘা জায়গা সব দেখা শুনা করতেন তিনিই। সূত্রের খবর, সব কিছু তিনিই কিনেছিলেন। সামনে কখনই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আসেননি। আর এই রাজীব দে-ই নিজেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নে বলে পরিচয় দিতেন। এলাকায় তাঁর বেশ প্রভাবও ছিল। তাঁর প্রভাব ঠিক কতটা, তা বোঝা যায় গোয়ালপাড়া এলাকায় গেলে। শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়া এলাকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘তিতলি’ বাড়ির সামনে লেখাও আছে এই রাজীব দে-র নাম।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজীব নামে ওই ব্যক্তি শান্তিনিকেতনে প্রায়ই যেতেন। বাড়িঘর দেখভাল করতেন, সময় কাটিয়ে চলে আসতেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে, নিজেকে পার্থর ‘ভাগ্নে’ বলেই পরিচয় দিতেন তিনি। তবে স্থানীয় সূত্রে এটাও জানা যাচ্ছে, গত ২ মাস ধরেই আচমকাই তাঁর শান্তিনিকেতনে আশাযাওয়া বন্ধ। আরও একটি চাঞ্চল্যকর বিষয়, রবিবার সকালেই ‘রাজীব’ নামাঙ্কিত সেই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল, ‘র’ অক্ষরটি ঘষে গিয়েছে। দৃশ্যত, সেই ঘষে নাম মোছার চেষ্টা করেছেন। এই বিষয়টি নিয়েও একটা রহস্য দানা বেঁধেছে।

সূত্র মারফত খবর, মাঝ বয়সী রাজীব থেকে আদতে থাকেন কলকাতেই। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি, জমি-দলিল অর্থাৎ বিষয় আশয় বিষয়টির দেখভাল করতেন। তদন্তকারীদের র্যাডারে এবার এই রাজীব বলেই জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, রাজীবের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাহলেই আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে।

Next Article