বীরভূম: কপালে থাকলে সবই ফেরে। কিন্তু তা বলে ১০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাইকও যে ফিরে আসবে প্রথমে তো তা বিশ্বাসই করতে পারেননি বোলপুরের নাড়ুগোপাল ঘোষ। সেই ২০১২ সালে হারানো বাইক ২০২২-এ ফিরে পেলেন তিনি। বারবারই বলছেন, দুবরাজপুর পুলিশের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারির পাশাপাশি ১১টি চোরাই বাইক উদ্ধার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ
বোলপুর শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলা। সেখানেই বাড়ি নাড়ুগোপাল ঘোষের। তিনি জানান, ২০১২ সালের ২৮ শে অগস্টের সেই রাতের কথা। অফিসের কাজে রাতে ইলামবাজার যাচ্ছিলেন। অত্যন্ত প্রিয় বাইকটিতে চেপেই যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই রায়পুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে কালভার্টের উপর কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। তাঁর কাছ থেকে বাইকটি কেড়ে নেয় তারা। শুধু তাই নয়, নাড়ুগোপালের হাত-পা বেঁধে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীর দল।
নাড়ুগোপাল ঘোষের বন্ধু লালমোহন সিং বলেন, “কখনও ভাবিনি ১০ বছর পর গাড়িটা পাওয়া যাবে। আমরা তো ভুলেই গিয়েছিলাম গাড়িটার কথা। এতদিন হয়ে গেছে। গাড়িটা নিয়ে কোনও কথাও উঠত না। এরইমধ্যে থানা থেকে খবর যায়, অমুক গাড়ি দুবরাজপুর থানায় রাখা আছে। এরপরই আমরা থানায় যোগাযোগ করি।” তাঁর কথায়, গাড়ির নম্বর বদলে ফেলা হয়েছিল। ইঞ্জিনের নম্বর দেখে তাঁরা গাড়িটি চিনতে পারেন।
লালমোহন বলেন, “যিনি এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন উনি খুব সহযোগিতা করেছেন। আমরা গাড়ির নম্বর মেলানোর পর কোর্টে যাই। সেখানে কিছু কাজকর্ম করার ছিল। সেগুলি করি। তারপর থানা থেকে ২৫ তারিখ সময় দেওয়া হয়। সেইমতো আমরা আসি। সব কাগজপত্র দেখিয়ে গাড়িটা ফেরত পেলাম। আমরা কৃতজ্ঞ দুবরাজপুর থানার কাছে। এটা একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। বলে বোঝাতে পারব না। আমরা যেদিন প্রথম খবর পাই চার পাঁচজন বন্ধু মিলে গাড়িটা দেখতে আসি।” খুশিতে ডগমগ নাড়ুগোপালের কথায়, খুব পছন্দের ছিল বাইকটা। আবার সেটা আমার হাতে, কেমন যেন একটা লাগছে।
দুবরাজপুর থানার পুলিশ গত ২৯ জুন দুবরাজপুর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছে থেকে ৯টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়। পরে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও ২টি বাইক উদ্ধার করা হয়।