রামপুরহাট: লাল পাড়। সাদা শাড়ি। চোখে রোদ চশমা। হাতে পুজোর ডালি। তারাপীঠ মন্দিরে এভাবেই প্রবেশ করলেন সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। বললেন, “তারা মায়ের আশীর্বাদ রয়েছে বলেই আমি প্রার্থী হতে পেরেছি।”তবে প্রচারের শুরুতেও শতাব্দীর মুখে শোনা গেল অনুব্রত মণ্ডলের নাম।
প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা ভোটে বীরভূমে অনুপস্থিত অনুব্রত মণ্ডল। গতবারও ছিলেন তিনি। তৃণমূলের একনিষ্ঠ সংগঠক। বরাবরই ভোটের আগে খবরের শিরোনামে নাম উঠে আসত তাঁর। কিন্তু এইবার তিনি নেই। গরুপাচার মামলায় আপাতত জেলেই রয়েছেন তিনি। তবে অনুব্রতকে যে শতাব্দী মিস করেন সেকথা জানালেন সংবাদ মাধ্যমে।
এ দিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর বললেন, “অনুব্রত মণ্ডল নেই খারাপ লাগছে। মিস তো করবই। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতি কোনও প্রভাব ফেলবে না।” আজ বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিলেন শতাব্দী রায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশীস বন্দ্যোপাধ্যায়। শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে চতুর্থবারের জন্য জয়ের বিষয়ে ২০০ শতাংশ আশাবাদী তিনি। বললেন, “২০০৯, ২০১৪, ২০১৯, ২০২৪! প্রতিবার তারা মা-কে পুজো দিই। আর তারা মায়ের আর্শীবাদ রয়েছে বলেই আমি বীরভূমের প্রার্থী হতে পেরেছি।” তৃণমূল সাংসদ মনে করেন তারা মায়ের আশীর্বাদের জন্যই তিনি বারবার জিতেছেন। এবারও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।