সিউড়ি: প্রথমে দু-একজন, তারপর একের পর এক গ্রাম থেকে খবরটা আসতে শুরু করে। সকলেরই বমি, পেট খারাপ। রাত আড়াইটে পর্যন্ত পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে সংখ্যাটা ৮০ গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার অন্তর্গত সংড়া পঞ্চায়েতের পাগলাডাঙ্গা গ্রামে। সূত্রের খবর, এলাকারই এক মহিলার শ্রাদ্ধের কাজে গিয়েছিলেন মৃতদাসপুর, কামারশাল ও পাগলাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা। সেখানেই মুড়ি, বোঁদে খান। তারপর বাড়ি যেতেই এই কাণ্ড। একের পর এক পাড়া থেকে লাগাতার অসুস্থ হওয়ার খবর আসতে থাকে। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
সন্ধ্যা থেকেই বমি, পায়খানা শুরু হয়ে যায় আশপাশের গ্রামের বহু শিশুর। রাত আড়াইটে পর্যন্ত পাওয়া আপডেটে জানা যায় মোট ৮৫ জনের একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে চল্লিশের বেশি শিশু। তবে অসুস্থ লোকজনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অনেককেই ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান প্রশাসনের কর্তারা। রোগী ও রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ মোদক, মহকুমা শাসক সুপ্রতীক সিনহা, সাঁইথিয়া ব্লকের বিডিও, সাঁইথিয়া থানার ওসি, সিউড়ি থানার আইসি সহ অন্যান্যরা।
অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ মোদক মনে করছেন খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই এমনটা হয়েছে। তিনি বলেন, যে খাবার ওনারাকে খেয়েছিলেন তাতে বিষক্রিয়া থেকেই এটা হয়ে থাকতে পারে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। তবে আসল কারণটা কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগেও রাজনগরে এরকম ঘটনা ঘটেছে। তবে এতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রোগীদের জন্য স্যালাইন সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকেই এখন স্থিতিশীল রয়েছেন।