রামপুরহাট: ডাক্তার দেখাতে এসে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন মা এবং মেয়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন ছেলে। মায়ের মৃত্যুর ধাক্কা সামলাতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার বীরচন্দ্রপুর গ্রামে। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমেছে ওই গ্রামে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বীরচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা শঙ্করী লেট চিকিৎসার জন্য রামপুরহাট আসেন। ছোট মেয়ে আল্পনা লেটকে নিয়ে রামপুরহাটে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন তিনি। ডাক্তার দেখানোর পর একটি অটোতে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। সে সময় রামপুরহাট থানার বেলের মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি চার চাকার গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অটোটির। এই পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তার মধ্যে ছিলেন শঙ্করী ও তাঁর মেয়ে আল্পনা। দুজনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় শঙ্করী লেটের।
মায়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে আর শনিবার আত্মহত্যা করেন ছেলে মিলন লেট। গ্রামে ফিরে একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যে থাকা গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। এই ঘটনায় গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে।