Anubrata Mondal: কয়েক কিমির ব্যবধানে দুই মঞ্চে দুই নেতা, অনুব্রত-কাজলের ঠান্ডা লড়াই বাড়ছে?

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Oct 21, 2024 | 3:09 PM

Anubrata Mondal: সোমবার সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের বেণীমাধব স্কুলের মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। একই দিনে ১০ কিলোমিটার দূরে সিউড়ি দু'নম্বর ব্লকে থাকবেন কাজল শেখ। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি নুরুল ইসলাম সেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছেন।

Anubrata Mondal: কয়েক কিমির ব্যবধানে দুই মঞ্চে দুই নেতা, অনুব্রত-কাজলের ঠান্ডা লড়াই বাড়ছে?
অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

সিউড়ি: প্রথমজন দু’বছর জেলে থাকার পর কিছুদিন আগে জামিন পেয়েছেন। আর প্রথমজনের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয়জনের জেলায় গুরুত্ব বেড়েছে। কিন্তু, প্রথমজন জামিন পাওয়ার পর থেকে কি দু’জনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে? বীরভূমের ‘বাঘের’ এলাকায় কি নিজের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন দ্বিতীয়জন? গত কয়েকদিনের ঘটনার পরম্পরায় এই প্রশ্নই উঠছে বীরভূমের রাজনীতিতে। প্রথমজন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর দ্বিতীয়জন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। গত কয়েকদিনে জেলায় একাধিক বিজয়া সম্মিলনী পালন করেছেন বীরভূমের ‘বাঘ’ কেষ্ট। তার একটাতেও দেখা যায়নি কাজলকে। তাতেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সেই গুঞ্জন আরও বেড়েছে দুই জনের সোমবারের কর্মসূচিতে। সিউড়িতে কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধানে বিজয়া সম্মিলনীর দুটি অনুষ্ঠান রয়েছে। একটিতে থাকছেন অনুব্রত, অন্যটিতে কাজল।

সোমবার সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের বেণীমাধব স্কুলের মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। একই দিনে ১০ কিলোমিটার দূরে সিউড়ি দু’নম্বর ব্লকে থাকবেন কাজল শেখ। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি নুরুল ইসলাম সেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছেন। একদা নুরুল ইসলাম ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী। সেই নুরুলের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে অনুব্রত থাকছেন না। থাকছেন কাজল।

দুই নেতা-ই অবশ্য মুখে বিরোধের কথা স্বীকার করছেন না। কাজল শেখের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কথা উড়িয়ে অনুব্রত বলছেন, “সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত আছেন। কোন বিতর্কিত কথা বলব না।” অন্যদিকে, কাজল শেখের বক্তব্য, “অনুব্রত মণ্ডল আমার অভিভাবক। আমার রাজনৈতিক গুরু। আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে বসিয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। আমাদের মধ্যে কোনও সমন্বয়ের অভাব নেই।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, বীরভূমে একটাই গোষ্ঠী। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠী।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের অগস্টে গ্রেফতার হন অনুব্রত। প্রায় ২ বছর জেলে থাকার পর কিছুদিন আগে জামিন পেয়েছেন তিনি। এদিকে, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয়েছেন কাজল শেখ। এমনকি, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে বীরভূমে তৃণমূলের যে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তাতেও ছিলেন কাজল। অনুব্রত জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুই নেতার ঠান্ডা লড়াই কি বাড়ছে? গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে।

Next Article