Visva Bharati: বিশ্বের প্রথম ‘লিভিং হেরিটেজ’! UNESCO-র বড় স্বীকৃতি পেতে চলেছে বিশ্বভারতী

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Feb 06, 2023 | 9:59 PM

UNESCO: স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতীকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর আনাচে কানাচে জড়িয়ে রয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি।

Visva Bharati: বিশ্বের প্রথম লিভিং হেরিটেজ! UNESCO-র বড় স্বীকৃতি পেতে চলেছে বিশ্বভারতী
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

Follow Us

বোলপুর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University) খুব তাড়াতাড়ি ইউনেসকোর (UNESCO) স্বীকৃতি পেতে চলেছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই ইউনেসকোর হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এটাই হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম ‘লিভিং হেরিটেজ ইউনিভার্সিটি’। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বয়ান উদ্ধৃত কর ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘এটি হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এটাই হবে বিশ্বের প্রথম হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়।’ উপাচার্য আরও বলেছেন, ‘এপ্রিল বা মে মাসে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়া বাকি রয়েছে। তাছাড়া বাকি সব হয়ে গিয়েছে। সাধারণত কোনও মনুমেন্টকে বা সৌধকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়। এখনও সচল রয়েছে এমন কোনও বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেসকোর হেরিটেজ তকমা দেওয়া সারা বিশ্বে এই প্রথম।’

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতীকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর আনাচে কানাচে জড়িয়ে রয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি। বদ্ধ ঘরে নয়, মুক্ত-প্রাঙ্গনে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানই পছন্দ ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে উপাচার্য জানিয়েছেন, সারা পৃথিবীতে আর কোনও এমন বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে সংস্কৃতি ও কৃষ্টি নিয়ে অবিরাম নাড়াচাড়া হয়।’ বিশ্বভারতীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা ইউনেসকোর ওয়েবসাইটেও উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সংস্কৃতির কেন্দ্রভূমি হিসেবে এবং শিল্প-কলা, ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিকাশের জন্য ১৯২২ সালে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।’

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের থেকে ইউনেসকোর কাছে বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনেকদিন আগেই আবেদন জানানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই দুই বার কেন্দ্রের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। অতীতে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস-এর একটি প্রতিনিধি দলও বিশ্বভারতী পরিদর্শনে এসেছিল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিও। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছিলেন তাঁরা। এবার শেষ পর্যন্ত হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে বিশ্বভারতী। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতীর তরফে কোনও বিবৃতি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

Next Article