বোলপুর : সকাল থেকে বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) আন্দোলনের জের। এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পাঠভবনের ও শিক্ষাসত্রের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী। সেই সঙ্গে পাঠভবনের সমস্ত হোস্টেল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে পাঠভবনের যে সমস্ত আবাসিকরা রয়েছেন, তাঁদেরকে হোস্টেল খালি করে দিতে হবে। আবাসিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরে পাঠভবন ও শিক্ষা সত্র মিলিয়ে বিশ্বভারতীর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০০ জন। সোমবার থেকে বিশ্বভারতীর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার দিন সকাল থেকে তাল কাটে। ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ ভাষাভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পড়ুয়াদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত তাঁদের হাতে কোনও বৈধ রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। তার উপর, টেস্ট পরীক্ষার মাত্র ১০ দিনের মাথায় ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে জানান পরীক্ষার্থীরা। সকাল ৯ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল দুপুর ১২ টায়। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা দুপুর প্রায় সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত পরীক্ষা বয়কট করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভরত পরীক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের পুরো ক্লাস হয়েছে অনলাইনে। এখন অফলাইনে পরীক্ষা নিতে হলে তাঁদের আরও সময় দিতে হবে। নিজেদের প্রস্তুতির জন্য অন্তত এক মাস দিতে হবে, এমনটাই দাবি পরীক্ষার্থীদের। এদিকে, বিক্ষোভের মধ্যেই পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক এমন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের সই সংগ্রহ করতে শুরু করেন। এতে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠে। দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা বচসাও হয়। একজন পরীক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও খবর। সকাল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এই লাগাতার চাপের মধ্যে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।
আরও পড়ুন : TMC infights in Kolkata: বাবুলের প্রচারে বেআব্রু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! তৃণমূলের কর্মিসভায় রক্তারক্তি