Visva Bharati: পৌষমেলার আয়োজন করতে চায় বিশ্বভারতী, রাজ্যের সাহায্য চেয়ে উপাচার্যের চিঠি মুখ্যসচিবকে

Poush Mela: করোনার সময়ে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছিল শান্তিনিকেতনের পর্যটক নির্ভর ব্যবসাগুলি। তবে এবার বিশ্বভারতীর এই ভাবনায় ফের আশার আলো দেখছেন স্থানীয় হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা।

Visva Bharati: পৌষমেলার আয়োজন করতে চায় বিশ্বভারতী, রাজ্যের সাহায্য চেয়ে উপাচার্যের চিঠি মুখ্যসচিবকে
পৌষ মেলা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2022 | 1:52 PM

শান্তিনিকেতন : করোনার কারণে গত দুই বছর ধরে কিছুটা ছিমছাম করেই আয়োজন করতে হয়েছিল পৌষ উৎসবের। তবে এই বছর শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন করতে চান বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আর তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠিও লিখেছেন। গত দুই বছরে চেনা ছন্দ অনেকটাই অমিল ছিল শান্তিনিকেতনে। সেই চেনা ভিড় যেন কোথাও উধাও হয়ে গিয়েছিল। ঘরোয়াভাবে পৌষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এই বছর পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিকের দিকে এগোতেই ফের আগের মতো করে পৌষমেলা আয়োজন করতে চাইছে বিশ্বভারতী।বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, গত ২৯ জুন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন উপাচার্য। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

পৌষমেলা এবং বসন্ত উৎসব। এই দুটিতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষরা এসে ভিড় করেন শান্তিনিকেতনে। হোটেলগুলিতে তখন তিল ধারণের জায়গা থাকে না। আর এই দু’টি উৎসবকে ঘিরে বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকার বহু মানুষের রুজি-রুটি চলে। কিন্তু করোনার সময়ে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছিল শান্তিনিকেতনের পর্যটক নির্ভর ব্যবসাগুলি। তবে এবার বিশ্বভারতীর এই ভাবনায় ফের আশার আলো দেখছেন স্থানীয় হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, বিহত দুই বছর ধরে মেলার মাঠে পৌষমেলা না হওয়ার কারণে বোলপুরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ময়দানে বিকল্প মেলার আয়োজন করেছিল বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে গত ২৯ জুন মুখ্যসচিবকে চিঠিতে উপাচার্য জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষ মেলা আয়োজন করতে চায়। তবে রাজ্য সরকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক স্তরের সহযোগিতা ছাড়া তা সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বছর শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে পৌষমেলা করতে আগ্রহী। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই ভাবনায় স্বাভানিকভাবেই খুশি এলাকার ব্যবসায়ী ও হস্তশিল্পীরা।