Maoist leader: একটানা অনশনে কমছে ওজন, শরীর দুর্বল, মাওবাদী বন্দি অর্ণবের PhD ক্লাসও বন্ধ
Maoist leader: সোনারপুর পুলিশ জানিয়েছে, অর্ণব প্যারোলে পেলে এলাকায় অশান্তি হতে পারে। তাই প্যারোল দেওয়া যায়নি বলে কারা দফতর জানিয়েছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর।
কলকাতা: পিএইচ ডি-র প্রবেশিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছিলেন অর্ণব দাম। জেল থেকেই পড়াশোনা চলছিল মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের। কিন্তু একটানা অনশনে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছেন তিনি। পড়াশোনা একপ্রকার বন্ধই হয়ে গিয়েছে। বারবার আবেদন জানাো সত্ত্বেও টলছে না জেল কর্তৃপক্ষ। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না অর্ণব দাম।
শিলদা-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে বন্দি রয়েছেন অর্ণব দাম। গত বুধবার থেকে একটানা অনশন করে চলেছেন তিনি। অসুস্থ মা’কে দেখতে যাওয়ার জন্য একদিনের প্যারোল চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর ৭৬ বছর বয়সী মা একা থাকেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। অভিযোগ, জেলের মধ্যে অর্ণবের পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনশনে ওজন কমেছে তিন কেজি। বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়াও বন্ধ, ফলে পিএইচডি-র ক্লাস করাও হচ্ছে না।
সোনারপুর পুলিশ জানিয়েছে, অর্ণব প্যারোলে পেলে এলাকায় অশান্তি হতে পারে। তাই প্যারোল দেওয়া যায়নি বলে কারা দফতর জানিয়েছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। কলকাতায় আইজি কারার অফিসে অর্ণবের জামিন চেয়ে দাবিপত্র পেশ করা হয়েছে এপিডিআর-এর তরফে।
এই খবরটিও পড়ুন
ডিআইজি অজয় ঠাকুর জানিয়েছেন, সোনারপুর থানার পুলিশের তরফে অর্ণবের প্যারোলের ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছে। এর আগে রাত ১টার সময় অর্ণবের মায়ের কাছে তদন্ত করতে যাওয়ায় সোনারপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চমহলে অভিযোগ জানিয়েছিল এপিডিআর।
বর্তমানে তাঁর বাড়িতে রয়েছেন মা কল্যাণী দাম। একাই থাকেন তিনি। শারীরিক অবস্থাও ভাল নয়। তারই মধ্যে মধ্যরাতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। তাই বাড়িতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান অর্ণব। এই দাবিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকেই জেলের খাবার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। প্রথম দিকে চা-বিস্কুটটাই খাচ্ছিলেন শুধু। পরে পুরোপুরি অনশন চলছে তাঁর।