Asansol: পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি ভাষাতেই হতে হবে ‘ঘোষণা’! আসানসোলে বাঙালি দোকানদারকে ফেলে পেটাল অবাঙলি যুবক

Google Pay: এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় অনুপবাবুকে স্থানীয় মানুষজন ধরাধরি করে পিঠাইকিয়ারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার ক্ষতস্থানে দুটি সেলাই দিতে হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ী এবং বাংলা পক্ষের মানুষজন রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে জমায়েত হন।

Asansol: পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি ভাষাতেই হতে হবে 'ঘোষণা'! আসানসোলে বাঙালি দোকানদারকে ফেলে পেটাল অবাঙলি যুবক
এই ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছেImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2024 | 11:15 PM

রণক্ষেত্র পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল। কেন জানেন? ভাষা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিবাদ। অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে যে বার্তা আসে তা বেজেছিল বাংলায়। অভিযোগ, তারই খেসারত দিতে হল বাঙালি দোকানদারকে। অভিযোগ, ওই দোকানদারকে বেধড়ক মারধর করল তিন অবাঙালি যুবক। ঘটনাটি নিয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বাংলা পক্ষ এবং রূপনারায়ণপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি এই ঘটনার বিহিত চেয়ে সরব হয়েছে।

কী অভিযোগ?

পুলিশে দায়ের করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ একটি বাইকে তিন যুবক রূপনারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ডে আসে। সেখানে স্থানীয় ব্যবসায়ী অনুপ মাজির দোকানে সিগারেট কিনতে যায় তারা। ছ’টাকা গুগল পে-তে মেটান। অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার ঘোষণাটি সংশ্লিষ্ট যন্ত্রে বাংলা ভাষায় উচ্চারিত হয়। কিন্তু কেন বাংলায়? হিন্দি কেন নয়? অভিযোগ, এই নিয়ে তর্ক জুড়ে দেন ওই তিন ক্রেতা। তারা আরও অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করে। বলে, হিন্দিতেই এই ঘোষণা হতে হবে।

এরপর ওষুধের দোকানের কর্মীরা সেখানে ছুটে গেলে ওই তিন যুবক বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। কিন্তু রাত প্রায় দশটা নাগাদ যখন অনুপবাবু দোকান বন্ধ করতে উদ্যত হন। ঠিক সেই সময়ে ওই তিন যুবক ডাবর মোড়ে ফিরে আসে। অভিযোগ, এক যুবক বাইক থেকে নেমে হঠাৎই অনুপ বাবুকে আক্রমণ করে। অতর্কিত ঘুঁষিতে অনুপ বাবুর চোয়াল ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। আক্রমণ করার পরেই অভিযুক্ত যুবকেরা এলাকা ছাড়ে।

এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় অনুপবাবুকে স্থানীয় মানুষজন ধরাধরি করে পিঠাইকিয়ারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার ক্ষতস্থানে দুটি সেলাই দিতে হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ী এবং বাংলা পক্ষের মানুষজন রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে জমায়েত হন। বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে তাদের আশ্বাস দেন রূপনারায়ণপুর ওসি অরুনাভ ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কালীপুজোর মেলা উপলক্ষে হিন্দুস্তান কেবলস হাইস্কুল মাঠে যাওয়া এক ব্যক্তিকে জোড়বাড়ির এক যুবক বাংলা ভাষা নিয়ে কটূক্তি করেছিল। অভিযোগ, তাঁকে বলা হয়েছিল বাংলা বলতে হলে বাংলাদেশে যান। সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাপক্ষ। পুলিশ এবং রাজনৈতিক মহলও ওই যুবকের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে ওই যুবক এবং তার পরিবার বিষয়টি মিটমাট করে নেন। কিন্তু সেই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবার বাংলা ঝাড়খণ্ডের সীমানা এলাকায় রূপনারায়ণপুরে ঘটায় সকলেই অত্যন্ত ক্ষিপ্ত। তারা চাইছেন এই ধরনের অসহিষ্ণুতা বন্ধে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

পুলিশ জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। হতে পারে বাংলা ঝাড়খনণ্ড সীমানার ঝাড়খণ্ডের মিহিজামের বাসিন্দা তাঁরা।বাংলা পক্ষের তরফে জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,”সীমানাবর্তী এলাকায় এই ধরনের অত্যাচার বাড়ছে। এর প্রতিবাদে বড় আন্দোলন শুরু হবে। রূপনারায়ণপুর পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হবে।” অভিযোগকারী ব্যক্তি বলেন, “সিগারেট কিনল। তারপর গুগল পে করল। যেই না ফোনের স্পিকার বাজল বাংলায় অমনি খিস্তি করে বলল বাংলায় কেন রাখা হয়েছে? এরপর আমি বললাম গালিগালাজ কেন করছেন? তখন ধস্তাধস্তি করল। পরে যখন দোকান বন্ধ করছি সেই সময় এসে বলল