বোলপুর: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) ফের এক দফা চিঠি পাঠাল বিশ্বভারতী (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। আগের চিঠির মতোই এই চিঠিরও মূল বক্তব্য বিতর্কিত জমি সংক্রান্ত ইস্যু। তবে এদিনের চিঠিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের থেকে তাঁর সুবিধামতো অন্তত দুই দিন সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে বিশ্বভারতী। বিতর্কিত ওই জমি জরিপ করতে চায় বিশ্বভারতী। অমর্ত্য সেনকে সঙ্গে নিয়েই যৌথভাবে জমি জরিপে আগ্রহী বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই তাঁর থেকে সুবিধামতো দুই দিন সময় চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পূর্বের চিঠিগুলির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এদিনের চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, জমি সংক্রান্ত এই বিতর্কে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে অমর্ত্য সেন আগেই কার্যত ‘না’ জানিয়ে দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জমির যে নথি দিয়েছিলেন, তা তিনি বিশ্বভারতীকে পাঠাবেন কি না, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল নোবেলজয়ীকে। কিন্তু তেমন কোনও সম্ভাবনা যে নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর তরফে এই যৌথ জমি জরিপের আবেদনে অমর্ত্য সেন কী উত্তর দেন, সেই দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।
অমর্ত্য সেনকে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর লেটারহেডে আরও একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে তারা ভাল কাজ করছে, তাই তা অনেকের পছন্দ হচ্ছে না। জমি বিতর্কের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে এসে দাবি করেছেন, বিশ্বভারতীর তথ্য ভুল, তা নিয়েও তীব্র আপত্তি বিশ্বভারতীর। কেন মুখ্যমন্ত্রী জমি জরিপের কথা একবারও বললেন না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে ওই প্রেস বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়েছে, জমি জরিপ করলেই বোঝা যাবে বিশ্বভারতীর নথিপত্র ভুল বা রাজ্য সরকারের নথিপত্র সঠিক। সেই প্রেস বিবৃতির নীচে স্বাক্ষর রয়েছে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এই যৌথ জমি জরিপের ফলে কোনও জটিলতা কাটে কি না।