বীরভূম: বিশ্বভারতীতে করোনার থাবা। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস বিল্ডিং, পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল-সহ বেশ কিছু ভবনে কর্মী ও আধিকারিকদের মধ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তার জেরে এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় মূল অফিস, সেন্ট্রাল অফিস ও পিয়ারসন হাসপাতাল ।
উল্লেখ্য, সোমবারই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে অফলাইনে পড়াশোনা বন্ধ করে। এর পরেই আবারও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত প্রশাসনিক কাজও বন্ধ করে দেওয়া হল। আজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নোটিস দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই থমকে বিশ্বভারতীর সমস্ত কাজ।
প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মচারীদের পর এবার স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও কোয়ারেন্টিনের ছুটির সুবিধা পাবেন। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মঙ্গলবারই একথা জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। এর ফলে ৫লক্ষ শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা উপকৃত হবেন।
ক্রমেই জাল ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। পরিসংখ্যান বলছে, একধাক্কায় প্রায় ৩ হাজার বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত ৯ হাজার ৭৩। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৬ জন করোনা রোগীর। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে উপসর্গ অনেক হালকা। চিকিৎসক বলছেন, “ভাগ্য ভালো আক্রান্তদের বেশিরভাগই ৫-৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হয়তো হোম আইসোলেশনের যে লম্বা ১৭ দিনের পিরিয়ড, সেটাকেও কমিয়ে আনা হবে। যদি সেটা কমিয়ে আনা হয়, তাহলে ওয়ার্ক টার্নওভার বা অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী হবে।”
বিশ্বের অনেক দেশই এখন ১৪ দিন বা ২১ দিনের আইসোলেশনের নিয়মে বদল এনেছে। সম্প্রতি আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আমেরিকাবাসীর জন্য আইসোলেশনের নতুন প্রোটোকল চালু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে করোনা আক্রান্ত হলে পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। সাতদিন পর কাজে যোগ দেওয়া যাবে। সেই পথেই এবার ভারতও হাঁটবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। মঙ্গলবার এসএসকেএমের চিকিৎসকদের কথাতেও তেমনই ইঙ্গিত মিলল।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের চোখ রাঙানিতেও ভীত নন গবেষকরা, তথ্য দিচ্ছে অন্য ইঙ্গিত…