আসানসোল: অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সোমবারই এই নির্দেশ এসেছে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সাত সকালে নয়া মোড় অনুব্রত-কাণ্ডে। এদিন সকাল ৮টা নাগাদ আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার থেকে বের করে গাড়িতে তোলা হয় অনুব্রতকে। প্রশ্ন ওঠে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে? সূত্রের খবর, দুবরাজপুরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্য একটি মামলায় তাঁকে দুবরাজপুরের আদালতে তোলা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। যদিও এগুলি সবই সম্ভাবনা। সবই প্রশ্নচিহ্নের মুখে। সোমবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক হয় বলে সূত্রের দাবি। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠরা তাঁর দিল্লিযাত্রা রুখতে এই বৈঠক করেন বলে সূত্রের খবর।
এমনও শোনা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের একটি মামলা যেখানে পুলিশ আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে, সেই মামলায় মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হতে পারে অনুব্রতকে। তবে সবই এখনও সম্ভাবনা। দুবরাজপুরের ঘটনায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে সেই সময় অভিযোগ ওঠে। তবে এমনও শোনা যায়, সাক্ষীর অভাবে পুরোপুরি তা খারিজ হয়ে যায়। সেই মামলা সোমবার নতুন করে ভেসে ওঠে বলেও শোনা যাচ্ছে বীরভূম জেলার নানা সূত্র থেকে। সেই মামলায় অনুব্রতকে পুলিশ হাতে পেতে চায় এমন জল্পনাও রয়েছে।
কী হয়েছিল ২০১৪ সালে? ২০১৪ সালের ৩ জুন। দুবরাজপুর টাউন থানার সাব ইন্সপেক্টর অমিত চক্রবর্তী খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। এলাকার একটি পুকুর সংস্কার নিয়ে সিপিএম ও তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে গোলমালের অভিযোগ ওঠে। সেই ঝামেলার মাঝেই বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন ওই পুলিশ কর্মী। দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে ৫৫ দিন লড়াই করার পর মারা যান অমিত। এই ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের নামে অভিযোগ ওঠে। পরে চার্জশিটে প্রায় ৩৭ জনের নাম বাদ পড়ে। তবে বাকি যাদের নাম ছিল তাদের মধ্যে অনুব্রতর নাম ছিল না। এখানেই প্রশ্ন। আদৌ কি এই মামলাতেই অনুব্রতকে দুবরাজপুরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? নাকি অন্য কারণে? যদি অমিত চক্রবর্তী খুনের মামলাই হয়, তাহলে প্রশ্ন কেন এত বছর পর হঠাৎ এই মামলার খাতা খোলা হল নতুন করে? যদিও এখনও গোটা বিষয়টি সম্ভাবনায় জর্জরিত। কেষ্ট কোনও ‘কৌশল’ নিলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।