Bolpur: ২০১৬ সালের মামলায় আদালতে ডাক পড়ল চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর, পড়লেন বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 25, 2022 | 9:31 PM

Bolpur: ২০১৬ সালে সাঁইথিয়া থানা এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

Bolpur: ২০১৬ সালের মামলায় আদালতে ডাক পড়ল চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর, পড়লেন বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে
চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। ফাইল ছবি।

Follow Us

বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পরদিনই শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Bolpur Super Speciality Hospital) চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। বৃহস্পতিবার সেই চন্দ্রনাথকে একটি মামলায় ভর্ৎসনা করল সিউড়ি আদালত। যদিও এই ঘটনায় ওই চিকিৎসকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালে সাঁইথিয়া থানা এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসাও হয় তাঁদের। হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা করেছিলেন এই চন্দ্রনাথ অধিকারীই। এই সংঘর্ষের ঘটনায় যেহেতু হামলায় জখমদের চিকিৎসা করেছিলেন তিনি, তাঁকেও সাক্ষী হিসাবে ধরা হয়। তিনি যাঁদের চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা জমা দিতে বলা হয়।

সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার সিউড়ি আদালতে। সেখানেই চন্দ্রনাথ অধিকারী সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত হন। সেখানে দেখা যায় নামের যে তালিকা, সেখানে অনেক ক’টাতেই কলম চালানো হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, বহু নামের উপর কাটাকুটি লক্ষ্য করেন বিচারক। এই বিষয়টি নিয়েই চিকিৎসককে ভর্ৎসনা করা হয় বলে খবর।

যেদিন এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ নিয়ে বীরভূমে ফেরেন অনুব্রত মণ্ডল। ঠিক তার পরদিন তাঁর নীচুপট্টির বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের একটি মেডিক্যাল টিম যায়। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর নেতৃত্বে নেই টিম গিয়েছিল। ওই চিকিৎসক অনুব্রত মণ্ডলের বেড রেস্টের পরামর্শ দেন। সাদা কাগজে সবটা লিখে দেন তিনি। যা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়। এরপরই চন্দ্রনাথ অধিকারী দাবি করেন, “আমি একজন সরকারি কর্মচারী। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা নির্দেশ দেবেন, তা শুনতে আমি বাধ্য। আমি সুপারকে বলছিলাম হাসপাতালে নিয়ে যেতে, উনি বলেছিলেন হাসপাতালে আনার দরকার নেই। বাড়িতে যেতে।” একইসঙ্গে ওই চিকিৎসক দাবি করেছিলেন, “কেউ অন্যায় করলে তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত। মানুষের নিজের বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থাকা উচিত। তবেই মেরুদণ্ড সোজা করা চলা যাবে।”

Next Article