Visvabharati: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নামে থানায় অভিযোগ, অমর্ত্য সেনকে ‘হেনস্থা’র অভিযোগে সকাল থেকে গানে-নাটকে প্রতিবাদ
Bolpur: এদিন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর সামনে সামাজিক মর্যাদা রক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। বের হয় পদযাত্রাও। সেখানে ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী।
বোলপুর: অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমি-তরজার মাঝে এবার নতুন মোড়। শুক্রবার সকালে রবীন্দ্রগানে, নাটকে প্রতিবাদ জানায় ‘সামাজিক মর্যাদা রক্ষা সমিতি’। এরপর বেলার দিকে আবার শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ‘বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি’। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে হেনস্থা করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। একজন রবীন্দ্রপ্রেমী হয়ে যে ধরনের কথা বলেন তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে অভিযোগ ‘বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি’র। একইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্য শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের জায়গা জবরদখল করার চেষ্টা করছেন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক, এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শান্তিনিকেতন থানায়।
এদিন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর সামনে সামাজিক মর্যাদা রক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। বের হয় পদযাত্রাও। সেখানে ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী। তিনি বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ উপাচার্যের নেতৃত্বে অমর্ত্য সেনকে তুচ্ছ একটি আইনি বিবাদ নিয়ে যা করছে তা উন্মাদের আস্ফালন। সুস্থ চিন্তার আকাশে এটা ঘোর দুশ্চিন্তার। আমরা সকলে লজ্জিত বিশ্বভারতীর উপাচার্যের আচরণে। এর নিন্দা করতে আমাদের আজকের জমায়েত। আমরা চাই এই বিকৃত আস্ফালন বন্ধ হোক। অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ওনারা।”
এদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রক্তকরবী নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ দেখানো হয় শান্তিনিকেতন ফার্স্ট গেট মোড়ে। অংশ নেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল, চিত্রপরিচালক গৌতম হালদার ও অন্যান্য নাট্য ব্যক্তিত্ব। চৈতি ঘোষাল বলেন, “অমর্ত্য সেনের অমর্যাদা হতে পারে না। আমরা যাঁরা শিল্পী আমাদের শৈলী দিয়েই প্রতিবাদ করি। আজও তাই করলাম। গৌতমদারাও যেমন বললেন, এখন শান্তিনিকেতন একটা যক্ষপুরী হয়ে উঠেছে। আমি নন্দিনী, যক্ষপুরীতে রঞ্জনের আসার প্রয়োজন। আয় রে ভাই এবার লড়াইয়ে চল।” যদিও এ নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।