বীরভূম: বাংলার অনেক কৃষক ভোটে লড়ছেন। ভোটের পর আরও বেশি করে ফসল ফলাবেন তাঁরা। সবজির মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সোমবার এমন কথাই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। গত কয়েকদিনে সবজি বাজারে ঢুকলেই হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। লঙ্কা, আদার দাম শুনে ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। বরবটি, বেগুন থেকে করলা, ঢ্যাঁড়স —অসম্ভব মূল্যবৃদ্ধি আনাজের। দুবরাজপুরে পঞ্চায়েত ভোটের ভার্চুয়াল প্রচারে এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতে। যদিও তাঁর দাবি, সারা দেশেই জিনিসের দাম বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, দিল্লির উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জিনিসের দাম বাড়ছে সারা ভারতে। তাতে নজর নেই বিজেপির। মহারাষ্ট্রে টমেটোর দাম হয়েছে প্রায় ১৩০ টাকা, কর্নাটকে ১৪০ টাকা, দিল্লিতে ১৫০ টাকা। এই অবস্থায় বেগুন, ঢ্যাঁড়সের দাম বাড়ছে। আমরা জিনিস কিনি চাষিভাইদের কাছ থেকে। অনেক গ্রামের মানুষ আজকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন। সাতদিন বাদে যখন রেজাল্ট বেরিয়ে যাবে, তাঁরা আরও বেশি করে শস্য ফলাতে পারবে। আমাদের সুফল বাংলা আছে চালু করেছি। সাড়ে ৪৫০ উপর সুফল বাংলা বাজারে বাজারে পাঠাচ্ছি। যেখানে আমরা ১০ টাকা করে দাম কমিয়ে দিয়েছি।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষকরা এমএসএমই (MSME)-র টাকা পাচ্ছেন না। ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না ফসলের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের বলব বাইরে বিক্রি না করে সরকারের কাছে বিক্রি করুন। তাহলে আপনার টাকাটা থাকবে। আমাদের ধান না দিলে দালালরা এসে জুটবে। ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল কৃষকদের কাছ থেকে আমি কিনি।”