বীরভূম: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (National Institutional Ranking Framework) বা এনআইআরএফের তালিকায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কেন এই অবনমন, তা নিয়ে সোমবার লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে এক বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে জানান, বিশ্বভারতীর মান কমেনি, অন্যরা এগিয়ে গিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ ও আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এই বৈঠক ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয় শুরুতে। সূত্রের দাবি, প্রথমে নাকি বলা হয়েছিল, এদিনের বৈঠকে যাঁরা ছিলেন, সমস্ত অধ্যক্ষ ও আধিকারিককে তাঁদের বৈঠকে ঢোকার আগেই মোবাইল ফোন বাইরে রেখে কক্ষে ঢুকতে বলা হয়। যদিও পরে সকলেই মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করেন বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিনের বৈঠক মূলত এনআইআরএফের তালিকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই বলে সূত্রের খবর। সূত্রের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এদিন এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বিশ্বভারতীর পয়েন্ট খুব একটা কমেনি। তবে অন্যান্যদের পয়েন্ট বেড়েছে। আরও জানা গিয়েছে, উপাচার্যের ব্যাখ্যা, বিশ্বভারতীতে যেহেতু সঙ্গীত ভবন, কলা ভবনের মতো ভবন রয়েছে, যেগুলিতে পুঁথিগত শিক্ষার বদলে সংস্কৃতি চর্চা গুরুত্ব পায়। তা র্যাঙ্কিংয়ে গৃহীত হয় না।
এনআইআরএফের তালিকায় বিশ্বভারতীর মান ৯৮-এ রয়েছে এবার। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ধাক্কা খাচ্ছে? তা নিয়েই মূলত এদিনের পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। বিশ্বভারতীর গৌরবগাঁথা গোটা বিশ্বের কাছে সমাদৃত। বিশ্বকবির পরম যত্নে গড়ে তোলা এই আশ্রমের কৃষ্টি বাংলাকে বিশ্বের দরবারে গৌরবান্বিত করে। পৃথিবীজুড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতীরা রয়েছেন। কেন সেখানে শিক্ষার মানের অবনমন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বয়ং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা।