বীরভূম: দু’জনের কেউই ১৮ বছর পার করেনি। নাবালক-নাবালিকা। বাড়ির লোকজন তাই সেই প্রেমকে মানতে চায়নি বলে অভিযোগ। এরপরই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে যুগল। সোমবার বীরভূমের নলহাটি থানার মধুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, এদিন মধুপুর গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরের ধারের গাছে তাঁদের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকার লোকজন। তাঁরাই থানায় জানান। পুলিশ এসে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।
ওই যুগলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলে, মেয়ে দু’জন একে অপরকে ভালোবাসত। কিন্তু মেয়ের বয়স ১৮ পার হয়নি। এদিকে ছেলেও সাবালক নয়। তাই এই প্রেম, বিয়ের ভাবনাচিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে বলেছিল। এরপরই তারা নিজেদের শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রবিবার তারা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু রাতে দু’জনের কেউই বাড়িতে ফেরেনি। খোঁজ চলে এদিক ওদিক। এরপর সকালে তাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’জনের পরিবারই বুঝিয়েছিল, এখন এসব মাথা থেকে সরিয়ে ফেলতে। কারণ, বিয়ের বয়সের আগে বিয়ে দিতে গেলে তা আইন বহির্ভূত বলে গন্য হবে। কোনওভাবে যদি প্রশাসনের কানে খবর যায় তাহলে পুলিশি জটিলতায় পড়তে হবে দুই পরিবারকেই। এরপরই এদিন একই দড়িতে দু’জনকে ঝুলতে দেখা যায়।
এর আগেও এমন একাধিক ঘটনা দেখা গিয়েছে। পরিবারের লোকজন বিয়ের বয়স না হওয়ার আগেই মেয়েকে বিয়ে দিতে গিয়ে পুলিশের কড়া ধমকের মুখে পড়েছে। আবার অনেক সময় নাবালক ছেলেকেও বিয়ের মণ্ডপ থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। সম্প্রতি মেদিনীপুরে এরকমই এক ঘটনা ঘটে। নাবালক প্রেমিক প্রেমিকাকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখে মেয়ের বাড়ির লোকজন বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু পরে পুলিশ ও ব্লক অফিসের আধিকারিকরা এসে সেই বিয়ে আটকান। এমনকী দুই পরিবারকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেতে হয়।