Didir Doot: ‘২০ বছর ধরে দল করছি, বিধায়ক একটুও সম্মান দেন না’, এবার ‘দিদির দূতের’ দ্বারস্থ তৃণমূল কর্মীরাই

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 14, 2023 | 1:32 PM

Birbhum News: এমন অভিযোগ কিছুটা বিড়ম্বনাতেই ফেলে সাংসদকে। যদিও গোটা বিষয় শোনার পর বিধায়কের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সাংসদ অসিত মাল।

Didir Doot: ২০ বছর ধরে দল করছি, বিধায়ক একটুও সম্মান দেন না, এবার দিদির দূতের দ্বারস্থ তৃণমূল কর্মীরাই
অভিযোগ শুনছেন অসিত মাল।

Follow Us

বীরভূম: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি শুরু হতেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের নেতারা। নদিয়ায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণ সাহা, আবু তাহের খান, ঝাড়গ্রামে বীরবাহা হাঁসদা, পুরুলিয়ায় অর্জুন সিংকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। হাসনে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হল বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মালকে। দিদির দূতেরা সরকারি প্রকল্পের কথা বলবে, মানুষের সাধারণ সমস্যার কথা শুনবেন, তেমনটাই কথা ছিল। কিন্তু দলের অন্দরের ক্ষোভ, না পাওয়াকেও উগরে দিতে দেখা গেল সাংসদের সামনেই। অভিযোগ, সাংসদের সামনে এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ‘বিধায়ক তো এলাকায়ই আসেন না। ভোটের আগে চিনতেন। ভোটের পর ফোন করলে ফোনও ধরেন না।’ গাড়ির কাচ তুলে বেরিয়ে যান বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। শনিবার বীরভূমের ময়ূরেশ্বর বিধানসভা এলাকায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে যান বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল।

সেখানে ময়ূরেশ্বরের উজপুর গ্রামে গেলে অসিত মালের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ময়ূরেশ্বরের বিধায়ক অভিজিৎ রায়কে দেখাই যায় না। নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে নবকুমার দাস বলেন, “২০ বছর ধরে দল করছি। সিপিএম ছেড়ে দলে এসেছিলাম। কোনও জিনিস পাই না। একটা কথা বলে না, একটু সম্মান দেয় না। বিধায়কের জন্য গ্রামে গ্রামে মিটিং করেছি। ৫২টা গ্রামে গিয়েছি।” যে দিদির দূতেরা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, মানুষের সমস্যা শুনতে বেরিয়েছেন, তাঁদেরও কিছুটা বিড়ম্বনাতেই পড়তে হল। তাও আবার দলের কর্মীদের কাছেই।

বাসুদেবপুর প্রাথমিক হাসপাতালে গিয়েও একই পরিস্থিতি হয়। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ক্ষোভের মুখে পড়েন অসিত মাল। সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেন, হাসপাতালে কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। ছোটখাটো বিষয় হলেও সিউড়ি এবং রামপুরহাট হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁরা ময়ূরেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ব্যক্তি বলেন, “এখানে গরিব মানুষ কোনও পরিষেবা পায় না। ডাক্তার খালি সিউড়ি, রামপুরহাট পাঠিয়ে দেয়। প্রসূতিকে পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে হয় অত দূর। এভাবে মানুষ বাঁচবে কী করে?” বিষয়টি শোনার পর বিধায়কের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সাংসদ অসিত মাল। অন্যদিকে বিধায়ক অভিজিৎ রায় সমস্ত অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি সর্বতোভাবেই মানুষের পাশে থাকেন।

 

Next Article