দুবরাজপুর : সকাল সকাল গ্রামে পৌঁছেই একগুচ্ছ অভিযোগের মুখে পড়তে হল তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে (Debangshu Bhattachary)। ঘর নেই, জলের কল নেই, এমন সব অভিযোগ শুনে প্রথমটায় দেবাংশ তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও পরে তাঁকে কর্মসূচী বাতিল করে চলে যেতে হয়। শুক্রবার বীরভূমের দুবরাজপুরের বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুখুটিয়ার ডিহিপাড়া গ্রামে ‘দিদির দূত’ হিসেবে গিয়েছিলেন দেবাংশু। সেখানে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি ও সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইন-চার্জ দেবাংশু। নির্দিষ্ট কর্মসূচী বাতিল করে চলে যেতে বাধ্য হন তিনি। তবে তৃণমূল নেতার দাবি, সমস্যার কথা বলা মানুষের অধিকার।
তৃণমূলের এই যুব নেতা এখন সাধারণ মানুষের কাছে বেশ পরিচিত মুখ। তাঁকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেখেই ছুটে আসেন বাসিন্দারা। কেউ দেখান ভাঙা বাড়ি, আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন রাস্তার বেহাল দশা। এক মহিলা তাঁকে স্পষ্ট জানান, শুধু দেখে চলে গেলেই হবে না, সমস্য়ার সমাধানও করতে হবে। লাল শাল গায়ে ওই মহিলাকে দেবাংশু শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই মহিলা স্পষ্ট বলেন, ‘দেখতে আসুন আপত্তি নেই। কিন্তু, দলে নেতা-মন্ত্রীরা আসেন, দেখেন, চলে যান। আমার কথা হল, কাজটাও করতে হবে।’ সমস্যাটা কী? মহিলা বলেন, ‘আমাদের একটা কল নেই। আর রাস্তার ওপর ড্রেনের জল যেন বন্ধ হয়।’
এসব দেখে আর এক মহিলা পিছন থেকে অভিযোগ করেন, তাঁদের গ্রামে আলোর ব্য়বস্থা নেই। সন্ধ্যার পর থেকে পুরো অন্ধকার হয়ে যায়। দেবাংশু জবাবে বলেন, ‘আমরা সব দেখছি। সব জেনে, যেখানে বলার বলব।’ তবে রাস্তার ওপর নর্দমার জল উঠে আসতে দেখে কিছুটা ক্ষুণ্ণ হন দেবাংশুও। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বলেন, ‘রাস্তার ওপর নর্দমার জল কেন? এগুলো তো খুব একটা ভাল লাগে না। এগুলো একটু সময় নিয়ে ঠিক করতে হবে।’ পাশাপাশি, গ্রামবাসীদের বোঝান, তাঁরা স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী বা বিনামূল্যে রেশন যখন পাচ্ছেন, তখন বাকি সমস্যাও মিটে যাবে।
তবে এমন বিক্ষোভের মুখে কর্মসূচী সম্পূর্ণ করার আগেই ফিরে যেতে হয় তাঁকে। দেবাংশু বলেন, ‘সমস্যার কথা বলার অধিকার আছে মানুষের। আমরা তৃণমূল করি বলেই তাঁরা বলছেন। কারণ মানুষ জানেন, পারলে এরাই পারবে।’ যে সব সমস্যার কথা শুনেছেন, তা নোট করে তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাবেন বলে উল্লেখ করেছেন দেবাংশু।