RG Kar case: ‘চোখে জল চলে আসে’, বলছেন আরজি করের প্রাক্তনী ‘বিশু ডাক্তার’

RG Kar case: ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত আরজি কর কলেজে পড়াশোনা করেছেন চিকিৎসক সুকুমার চন্দ্র। স্মৃতির সরণি বেয়ে চিকিৎসক সুকুমার চন্দ্র বলেন, "২২ নম্বর ঘরে থাকতাম। আমার রুমমেট ছিলেন বিখ্যাত ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, জিতেন সেনরা। আরজি করের গেট দিয়ে ঢুকলে মনে হত মন্দিরে ঢুকলাম।"

RG Kar case: 'চোখে জল চলে আসে', বলছেন আরজি করের প্রাক্তনী 'বিশু ডাক্তার'
আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুললেন প্রবাদপ্রতিম চিকিৎসক সুকুমার চন্দ্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2024 | 6:49 PM

লাভপুর: তিনি আরজি কর কলেজের প্রাক্তনী। পাঁচ বছর এই কলেজে কাটিয়েছেন। সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো গ্রামে থেকে মানুষের সেবা শুরু করেন। আজ ৯৭ বছর বয়সেও নামমাত্র ফি-তে মানুষের চিকিৎসা করেন। বীরভূমের লাভপুরের সেই প্রবাদপ্রতিম চিকিৎসক সুকুমার চন্দ্র আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন। জানালেন, আরজি করের ঘটনার কথা টিভিতে দেখলেই চোখে জল চলে আসে। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি চাইলেন তিনিও। তাঁর সময়ের আরজি কর আর বর্তমান সময়ের এই কলেজের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য বলে মন্তব্য করেন চিকিৎসক সুকুমার চন্দ্র।

লাভপুরের মহুগ্রামের বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র। স্থানীয় মানুষের কাছে তিনি বিশু ডাক্তার। ৯৭ বছর বয়সেও রোগী দেখেন। একদম নামমাত্র ফি-তে। গতবছর নভেম্বরে তাঁর একমাত্র পুত্রের মৃত্যু হয়। পুত্রও চিকিৎসক ছিলেন। পুত্রের মৃত্যু দিনও রোগী দেখেছেন সুকুমার চন্দ্র। তাঁর কথায়, “রোগীরা আমার আত্মীয় স্বরূপ।” তারাশঙ্করের বিভিন্ন গল্পে চরিত্র হয়ে উঠেছেন এই বিশু ডাক্তার।

১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত আরজি কর কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। স্মৃতির সরণি বেয়ে চিকিৎসক সুকুমার চন্দ্র বলেন, “২২ নম্বর ঘরে থাকতাম। আমার রুমমেট ছিলেন বিখ্যাত ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, জিতেন সেনরা। আরজি করের গেট দিয়ে ঢুকলে মনে হত মন্দিরে ঢুকলাম।”

এই খবরটিও পড়ুন

তখন চিকিৎসকরা কেমন ছিলেন জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, “তখনকার চিকিৎসকরা টাকা, পয়সার কথা ভাবতেন না। মানবিকতা, হৃদ্যতা ছিল। রোগীরা কেমন আছেন, রাতে সেই খবর নিতেন চিকিৎসকরা।” আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ আর্থিক দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন। নিজের সময়কার অধ্যক্ষদের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সময় অধ্যক্ষ ছিলেন এম এন বোস। তিনি মোহনবাগানের সভাপতি ছিলেন। পয়সার কোনও বিষয়ই ছিল না।” তাঁদের সময়ের সঙ্গে বর্তমান সময়ের আরজি কর উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু বলে বর্ণনা করেন তিনি।

১৯৫৩ সালে আরজি কর কলেজ থেকে পাশ করেন চিকিৎসক সুকুমার চন্দ্র

আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিকেও সমর্থন জানালেন। বললেন, জুনিয়র ডাক্তাররা ঠিক করছেন। টিভির পর্দায় আরজি করের ঘটনার কথা শুনে কষ্ট পান। নবতিপর চিকিৎসক বললেন, “আরজি করের ঘটনার কথা টিভিতে শুনলে চোখে জল চলে আসে। কষ্ট হয়। তখন টিভি বন্ধ করে দিতে বলি।”

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)