আসানসোল: বিজেপি ( BJP)-র তরফে তাঁকে আসানসোল পৌরনিগমের ভোটে প্রার্থী (Candidate) করা হয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ড পছন্দ হয়নি বিজেপির আসানসোল উত্তর মণ্ডল দুই- এর সভাপতি সুদীপ চৌধুরীর। আর তাই দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ছাড়ছেন মণ্ডল সভাপতিত্বও।
ক্ষুব্ধ সুদীপ চৌধুরী শুক্রবার রাতে ঘোষণা করেছিলেন নির্দল হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামবেন। পরে শনিবার সকালে সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। জানান দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হবেন না। তবে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করছেন ও দলের মণ্ডল সভাপতির পদও তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, শুধু কর্মী এবং সমর্থক হিসাবে বিজেপিতে থাকব।
শুক্রবার রাতে আসানসোল পৌরনিগম নির্বাচনের জন্য বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই প্রার্থী তালিকায় ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয় বিজেপি নেতা সুদীপ চৌধুরীকে। কিন্তু বিজেপির আসানসোল উত্তর মণ্ডল দুই’র সভাপতি সুদীপ চৌধুরীর ওই ওয়ার্ড পছন্দ হয়নি। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে দাঁড়ালে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।
সুদীপ চৌধুরীর কথায়, ‘‘আমি ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়াতে চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছিলাম। এমনকী দলের সম্মতিতেই ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও তুলেছিলাম। কিন্তু এখন জানতে পারছি আমাকে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে ৫০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার। কখনওই জেতা সম্ভব নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিম বর্ধমানের দিলীপ দে জেলা সভাপতি ও আসানসোল উত্তর বিধানসভার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় আমাকে ওই ওয়ার্ডে দাঁড় করিয়েছেন।”
সুদীপের মারাত্মক অভিযোগ, “আমার পরিবর্তে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে এমন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে, যিনি জেলা সভাপতির বাড়িতে কাজ করেন।’’ এর পর নিজের প্রতি অবিচারের অভিযোগ তুলে সুদীপ চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্বকে। বিজেপির তরফে যদি সিদ্ধান্ত বদল না করা হয়, তবে তিনি ৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ত্রিশূল চিহ্ন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়বেন বলে জানান। পরে শনিবার সকালে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলান সুদীপ। জানান নির্দল প্রার্থী হবেন না। তার চেয়ে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজেপির মণ্ডল সভাপতির পদও ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি বলে জনিয়েছেন।
২০২১ সালের শেষদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। যেমনটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল, তেমনটাই হয়েছে। তালিকায় নেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম। তবে রয়েছে তাঁর স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারির নাম। পেশায় আইনজীবী ও সমাজকর্মী। শুধু চৈতালি তেওয়ারি নয়, জিতেন্দ্র ঘনিষ্ঠরাও রয়েছে প্রার্থী তালিকায়। পাশাপাশি বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলররাও রয়েছেন লড়াইয়ের ময়দানে। তবে টিকিট পাননি অনেকে। এই অভিযোগও রয়েছে।