Asansol Municipal Election: জিতেন্দ্র নেই, স্ত্রী ও অনুগামীদের ঠাঁই প্রার্থী তালিকায়, উধাও বাবুল ঘনিষ্ঠরা

Jitendra Tiwari: এবারের প্রার্থী তালিকায় জিতেন্দ্র তেওয়ারির হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন যে কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতা-কর্মীরা, তাঁদের অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন।

Asansol Municipal Election: জিতেন্দ্র নেই,  স্ত্রী ও অনুগামীদের ঠাঁই প্রার্থী তালিকায়, উধাও বাবুল ঘনিষ্ঠরা
জিতেন্দ্র তিওয়ারি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 31, 2021 | 10:24 PM

আসানসোল : বছরের শেষদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। যেমনটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল, তেমনটাই হল – তালিকায় নেই জিতেন্দ্র তেওয়ারির নাম। তবে রয়েছে তাঁর স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারির নাম। পেশায় আইনজীবী ও সমাজকর্মী। শুধু চৈতালি তেওয়ারি নয়, জিতেন্দ্র ঘনিষ্ঠরাও রয়েছে প্রার্থী তালিকায়। পাশাপাশি বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলররাও রয়েছেন লড়াইয়ের ময়দানে।

তবে রাজনৈতিক মহলের মতে এই তালিকায় প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ যাঁরা ছিলেন তাঁদের নাম চোখে পড়েনি। বাবুল বর্তমানে তৃণমূলে। বরং তৎকালীন বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের ঘনিষ্ঠ সমস্ত কর্মীদের নাম দেখা যাচ্ছে প্রার্থী তালিকায়। এদিকে, কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিজেপির অন্দরে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের প্রার্থী তালিকায় জিতেন্দ্র তেওয়ারির হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন যে কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতা-কর্মীরা, তাঁদের অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন। বিশেষ করে প্রাক্তন কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য্য, ইন্দ্রাণী আচার্য্য, অমিত তুলসীয়ান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের দায়িত্বে থাকা আদর্শ শর্মা, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা গৌরব গুপ্তা, অনুপ চট্টরাজরা টিকিট পেয়েছেন। একইভাবে বহু নতুন মুখ এসেছে এবার বিজেপিতে। বিশেষ করে আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রবীণ সাংবাদিকদেরও নাম রয়েছে বিজেপির তালিকায়।

তবে এরই মধ্যে ক্ষোভের জায়গাও তৈরি হয়েছে পদ্ম শিবিরের আসানসোলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই। সুদীপ চৌধুরী এলাকায় বিজেপির যুব নেতা। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ক্ষোভ জমেছে তাঁর মনে। তাঁর বক্তব্য, তাঁকে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় তিনি খুশি নন। তিনি ৪২ নম্বরে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। সুদীপ জানিয়েছেন, তিনি আগে দল ছাড়বেন, তারপর ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করবেন।

জিতেন্দ্র তেওয়ারি অবশ্য শুক্রবারের প্রার্থীতালিকা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম এবার প্রার্থী হব না। পুরভোটের লড়াই পরিচালনা করব। আমার পুরনিগমের মেয়র থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। হাতের তালুর মতো আসানসোলকে চেনা। লড়াইয়ে সেনাপতির ভূমিকায় থাকব।” একইভাবে আর এক রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমিও দলকে জানিয়েছিলাম প্রার্থী হব না। তবে লড়াইয়ের ময়দানে পুরোপুরি থাকবো।”

আসানসোলে দলের অন্দরের বিক্ষোভ নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ দাবি, দল কারোর দিকে তাকিয়ে চলবে না। টিকিট না পেলেই হতাশ হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু, যিনি যোগ্য তাঁকেই প্রার্থী পদ দেওয়া হবে।

প্রবীণ বিজেপি নেতার মন্তব্য, “অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন।  অনেকে ভাবেন আমার টিকিট পাওয়া উচিত।  না পেলেই মনের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয় তাঁদের। কিন্তু পার্টি একটা সিস্টেমে চলবে। কোনও ব্যক্তি দেখে বা কারোর পছন্দমতো পার্টি চলবে না।”  তাঁর আরও সংযোজন, “নতুন-পুরনো মিলিয়েই প্রার্থী করা হচ্ছে। যাঁরা জিততে পারবেন তাঁদেরকেই প্রার্থী করা হবে। পুরনো কর্মীদের সুযোগ দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন : Asansol Municipal Election: ডেপুটি মেয়র সহ ৪০ কাউন্সিলরে ভরসা রাখেনি জোড়াফুল, আসানসোলে প্রকট হচ্ছে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব