মেদিনীপুর যেন ‘ব্রিগেড’! বিজেপি নেতা শুভেন্দুর ডাকে গেরুয়া ঢেউ কলেজ মাঠে
যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই সভা থেকে গেরুয়া পতাকা তিনি হাতে তুলে নেন।
এদিন মেদিনীপুরে নেমে ক্ষুদিরামকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন অমিত শাহ। বলেন, “ক্ষুদিরাম বসু ১৮ বছর বয়সে গীতা হাতে নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে লড়েছেন। ফাঁসির মঞ্চে বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়েছেন। এই মাটি মাথায় লাগিয়ে গর্ব অনুভব করছি। ক্ষুদিরামের পথের অনুসরণ করেই মোদীজির নেতৃত্বে নতুন ভারতের স্বপ্ন দেখতে হবে। বাংলায় সঙ্কীর্ণ রাজনীতি হচ্ছে। সঙ্কীর্ণ রাজনীতির উর্দ্ধে আমাদের কাজ করতে হবে।”
এছাড়াও বিজেপিতে যোগ দেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। সঙ্গে তৃণমূলের ৬ জন সংখ্যালঘু নেতাও যোগ দেন তৃণমূলে।
4 / 10
শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান পূর্বে কলেজ মাঠের জনসভা থেকে হুঙ্কার দেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বলেন, ‘তৃণমূলের শেষ পেরেকটা পুঁতবেন শুভেন্দু’। মুকুল রায় বলেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নখ-দাঁত বার করে তৃণমূল আক্রমণ করা চেষ্টা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারবে না। শুধু সময়ের অপক্ষো।
5 / 10
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, দু’বছর আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই মাঠেই সভা করেছিলেন, সেদিন এত ভিড় হয়েছিল, মঞ্চ ভেঙে পড়েছিল। আজ ভাঙবে না। সেদিন বিজেপি একটু দুর্বল ছিল, আজ বিজেপি এতই শক্ত যে অন্যরা ভেঙে যাচ্ছে।
6 / 10
অন্যদিকে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে শুভেন্দু বলেন, এই দল দেশপ্রেম, বহুত্ববাদে বিশ্বাস করে। সেই পরিবারে আমি প্রাথমিক সদস্য। যিনি আমাকে এই সুযোগ দিলেন, আমার বড় ভাই, বড় দাদা, দেশের আনবানশান অমিত শাহজি তাঁকে ধন্যবাদ।
7 / 10
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, অমিত শাহর সঙ্গে সম্পর্ক অনেক দিনের, ২০১৪ সালেই অমিত শাহ আমাকে দর্শন দিয়েছিলেন, তিনি ভাইয়ের মতো ভালোবাসতেন। যাদের জন্য আমি অকৃতদার থেকেছি, তারা আমার করোনা হওয়ার পর খোঁজ নেননি। অমিতজি নিয়েছেন।
8 / 10
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় নিয়ে শুভেন্দু বলেন, এবার দ্বিতীয় হবেন আপনিই, প্রথম হতে পারবেন না। প্রথম হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। আমি তাঁর নিচে লিখলাম আমি যখন যে দলে থাকি, সেই দলে মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করি, এবার থেকে মিছিলে গিয়ে বলব, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। আমি মনে প্রাণে চাই, কলকাতা আর দিল্লিতে একই সরকার থাকুক, না হলে বাংলা বাঁচবে না।
9 / 10
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, পাঁচ বছর আমাদের দিন, বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ে দেখাব। তৃণমূল সরকারকে উপড়ে না ফেললে কেন্দ্রের টাকা পাওয়া যাবে না। সব সমস্যার সমাধান একমাত্র বিজেপিই করতে পারবে। এই কারণে নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের সব কর্মীরা তৃণমূলকে হারানোর কাজ করবে। এটাই তৃণমূলের শেষের শুরু।
