তিন বিঘা: অমিত শাহের (Amit Shah) বাংলা সফর ঘিরে গত দু’দিন ধরেই জোরদার চর্চা চলছে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে। নজর রয়েছে গোটা দেশেরও। এদিকে গতকালই উত্তরবঙ্গে বিএসএফ-র (BSF) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে দেখা যায় অমিত শাহকে। এরপর সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও স্থানীয়দের বক্তব্য জানতে শুক্রবার তিন বিঘা করিডরের বিএসএফ ক্যাম্পে আসেন কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে সস্ত্রীক উপস্থিত হয়েছিলেন জলপাইগুড়ি বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় (Jalpaiguri BJP MP Jayant Kumar Roy)। উদ্দেশ্য, তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা খোজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা। কিন্তু সে গুড়ে বালি। বৈঠক তো দূক, শাহের ঘরে ঢুকতেই পারলেন না খোদ জলপাইগুড়ি বিজেপি সাংসদ।
সূত্রের খবর, তিনবিঘায় অমিত শাহ আসার পর জয়ন্ত বাবু সস্ত্রীক ঢুকতে গেলে তাঁকে আটকে দেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ জওয়ানেরা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র চাপানউতর তৈরি হয় বিজেপির অন্দরমহলে। এদিকে দেখা না পেয়ে যে সময় জয়ন্ত বাবু ফেরার রাস্তা ধরছেন তখন সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “কলকাতায় আবার যাচ্ছি। পড়ে বলব সব কথা”। এই ঘটনায় বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “মেখলিগঞ্জে অমিত শাহর সাথে দেখা করার কথা ছিল আমার ও সাংসদের। কিন্তু রাজ্য কমিটি থেকে গতকাল জরুরি নির্দেশ আসে। তাতেই জানানো হয়, অমিত শাহর কলকাতায় যে মিটিং আছে আমাকে সেখানে আমাকে থাকতে হবে। ফলে আমি তড়িঘড়ি কলকাতা চলে আসি। কিন্তু সাংসদের দেখা করার কথা ছিল। তাই তার নাম লিস্টে রাখার জন্য ইমেল করে দিল্লিতে জানাবার কথা ছিল। কিন্তু কোনওভাবে তা হয়ে ওঠেনি। তাই উনি মেখলিগঞ্জে দেখা করতে পারেননি”।
ঘটনা প্রসঙ্গে বাপী গোস্বামী আরও বলেন, বিষয়টি রাজ্য কমিটিতে জানাতেই তড়িঘড়ি কলকাতার মিটিংয়ে থাকার জন্য ওনার প্লেনের টিকিট কাটা হয়। উনি কলকাতার মিটিংয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর টেলিফোন বেজে গিয়েছে, কিন্তু উত্তর পাওয়া যায়নি।