J.P Nadda: ‘দূরবিন দিয়েও বাংলায় শিল্প খুঁজে পাওয়া যায় না’, মোদির প্রশংসা করে মমতাকে আক্রমণ নাড্ডার

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Feb 13, 2023 | 12:11 AM

বাংলায় শিল্প নেই তোপ দেগে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

J.P Nadda: দূরবিন দিয়েও বাংলায় শিল্প খুঁজে পাওয়া যায় না, মোদির প্রশংসা করে মমতাকে আক্রমণ নাড্ডার
রামনগরে জেপি নাড্ডা।

Follow Us

রামনগর: বাংলায় শিল্প তৈরির প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে এসে এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “শিল্প তৈরিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে শিল্প গড়বেন। কিন্তু কী হল! দূরবিন দিয়েও বাংলায় শিল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। ক’দিন আগে প্রমিস ডে ছিল। কিন্তু দিদি বাংলার মানুষকে দেওয়া প্রমিস রাখতে পারেননি।” বক্তৃতার শেষের স্লোগান তুলে শাসকদলকে উৎখাতের ডাক দেন জে.পি নাড্ডা।

বাংলায় শিল্প নেই তোপ দেগে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি । নাম না করে তিনি বলেন, “তৃণমূলের মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হল। কোথা থেকে এত টাকা এল? কার টাকা? এই লোকজন দুর্নীতিকারীগ্রস্ত।” এপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র নাম পাল্টে ‘বাংলা আবাস যোজনা করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন। এসএসসি শিক্ষক ও গ্রূপ- ডি কর্মী ও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়েও তৃণমূলের সমালোচনা করেন নাড্ডা। একইসঙ্গে রাজ্যে অপারাধমূলক কাজকর্ম অনেক বেড়ে গিয়েছে অভিযোগ তুলে নাড্ডা বলেন, “দেশের মধ্যে মহিলা অত্যাচারে চতুর্থস্থানে রয়েছে বাংলা। অ্যাসিড আক্রমণে প্রথম। অপহরণ, নারী অপহরণ ও পাচারে তৃতীয়। পণপথাতেও ৫ টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে বাংলা। এটাই বাংলার চিত্র।” এপ্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে টিএমসি শব্দের অর্থও ব্যাখ্যা করেন নাড্ডা।

অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছে দাবি জানিয়ে করোনা-মুক্ত হয়েছে, পিএম কিষাণ নিধি, পিএম আবাস যোজনা, পিএম অন্ন যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিন নাড্ডার সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। তিনিও তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।

সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের অবশ্য কড়া সমালোচনা করেন মন্ত্রী-পুত্র তথা রামনগর তৃণমূলের যুব নেতা সুপ্রকাশ গিরি। তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, সুকান্ত মজুমদার যেভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন তা উচিত নয়। নাড্ডা ফাঁকা মাঠে সভা করেছেন, মাঠ ভরাতেও পারেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তাঁর আগে লজ্জা হওয়া উচিত। একই মন্তব্য করেন মন্ত্রী অখিল গিরিও। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সভায় কখনও এত কম লোক হয়নি বলেও তোপ দাগেন তিনি।

Next Article