সাড়েঙ্গা: সম্পর্ক মানেনি পরিবার। প্রেমে এসেছে বাধা। বিরহ শোকে ডুব আত্মহত্যার (Suicide) পথে। রোজ সকালে খবরের কাগজ খুললে এই খবরে এখন যেন গা সওয়া হয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু, এর শেষ কোথায় ? উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল বাঁকুড়ার (Bankura) সারেঙ্গায়। যুগলের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল সারেঙ্গার গড়গড়িয়া গ্রামে। বৃস্পতিবার সকালে সারেঙ্গার শ্মশানকালী মন্দির লাগোয়া জঙ্গলের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুগলের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর যায় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতেই মৃত যুবকের বাড়ির লোকজন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার গড়গড়িয়া গ্রামের যুবক বুবুন সোমের সঙ্গে স্থানীয় হাঁসাবেড়া গ্রামের বাসিন্দা ও অন্ধ্রের একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজ ছাত্রী বৃষ্টি নন্দীর চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতকাল দুজনে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে দুজনেরই ঝুলন্ত মৃতদেহ সারেঙ্গা শ্মাশান কালী মন্দির লাগোয়া জঙ্গলের একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে মৃত বুবুন সোমের পরিবারের লোকজন পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
বুবুন সোমের পরিবারের দাবি বৃষ্টির পরিবারের লোকজন এর আগেও বুবুনের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেছে। এবার দুজনকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে বৃষ্টির পরিবারের লোকেরা। গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বুবুনের পরিবারের লোকজন। বৃষ্টির পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।