AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan: চুরির অপবাদে বালককে বেধড়ক ‘মারধর’, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

Burdwan: বৃহস্পতিবার বননবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই নাবালকের চিকিৎসা হয়। পরে সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই তৃণমূল নেতা তথা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বালকের মা।

Burdwan: চুরির অপবাদে বালককে বেধড়ক 'মারধর', গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
গ্রেফতার অভিযুক্তImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2025 | 5:13 PM
Share

বর্ধমান:  চুরির অপবাদ দিয়ে এক বালককে মারধরের ঘটনায় এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অনুষ্ঠানে বছর দশেকের এক বালককে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা ব্যবসায়ী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরে সন্ধ্যায় গ্রামের শিবতলায় সভা ডেকে গ্রামবাসীর একাংশের উপস্থিতিতে ওই বালককে হাজির করানো হয় বলেও অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার বননবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই নাবালকের চিকিৎসা হয়। পরে সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই তৃণমূল নেতা তথা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বালকের মা।

জানা গিয়েছে, ওই নাবালক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তাঁর বাবা চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। তার মায়ের অভিযোগ, “দোকানে ঢুকে চুরি করেছে সন্দেহে আমার ছেলেকে ওরা কদমগাছে বেঁধে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মেরেছে। ছেলের দুই পায়ে কালশিটে দাগ পড়েছে।”

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় শাসক বিরোধী তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহ রায় বলেন,  “তৃণমূল মানেই আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার আছে। তাই হয়েছে এখানে প্রশাসনের উচিত অভিযুক্তকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া।”

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস  বলেন, “ঘটনা অমানবিক। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক আছে। আমরাও চাই এই অমানবিক ঘটনার জন্য অভিযুক্তর শাস্তি হোক।” জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়ের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ভেদিয়া অঞ্চলের ৪৯ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন।

মাস ছয়েক আগে ৪৯ নম্বর বুথ সভাপতির মৃত্যু হয়। তারপর থেকে সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়কে ওই বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়কে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।